প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে কারাদণ্ড দিতে বাধ্য হবেন বলে দখলদারদেরকে সতর্কবার্তা দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর শ্যামপুর খাল পরিষ্কার কার্যক্রম সরেজমিন পরিদর্শন শেষে তিনি দখলদারদের বিরুদ্ধে এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য কাজী মনিরুল ইসলাম মনু, ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক প্রমূখ।

ব্যারিস্টার তাপস বলেন, দখল ঢাকাবাসীর জন্য একটি বড় সমস্যা। দখলদারদের বিরুদ্ধে আমরা ভবিষ্যৎতে আরো কঠোর হবো। প্রয়োজন হলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আমরা তাদেরকে কারাদণ্ড দিতে বাধ্য হবো।

খাল সংরক্ষণে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, আমাদের লক্ষ্য হলো খালগুলোকে সম্পূর্নরূপে স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করা, রক্ষণাবেক্ষণ করা এবং নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি করা। যাতে করে বছর বছর নতুন করে খনন বা এগুলো অপসারণ করতে না হয়। সেই লক্ষ্যে আমরা একটি প্রকল্প জমা দিয়েছি। প্রকল্পটি প্ল্যানিং কমিশন থেকে কিছু মতামত দিয়ে পাঠিয়েছে। আমরা সেগুলো আবার বিচার-বিশ্লেষণ-পর্যালোচনা করে জমা দেবো। আমরা আশাবাদী যে, এই প্রকল্প পাশ হলে স্থায়ীভাবে সমাধানের দিকে আগাতে পারবো।

সড়কের ওপর বিভিন্ন জায়গায় দখলদারদের স্থায়ী পার্কিং বাণিজ্য নিয়ে করা সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শেখ তাপস বলেন, আমরা যেখানেই দখল পাচ্ছি সেখানেই অভিযান চালাচ্ছি। সপ্তাহে পাঁচ দিনই দখলমুক্ত করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু ঢাকা শহরে এতো জনগোষ্ঠী, এতো জনসংখ্যার চাপ যে, দখল বাণিজ্য অত্যন্ত সংকট হিসেবে পরিণত হয়েছে। সেগুলোর বিরুদ্ধে আমরা প্রতিনিয়ত কাজ করে চলছি। এই আগ্রাসনের জন্য ঢাকাবাসীর জীবন নাভিশ্বাস হয়ে ওঠছে। তারপরও আমরা বলিষ্ঠভাবে কাজ চালিয়ে যাবো। এতে সবার সহযোগিতা চাই। আপনার দোকানের সামনে দোকান বসতে দেবেন না, পার্কিং করতে দেবেন না।

তাপস বলেন, গতবছর আমরা খাল পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই খালগুলো পরিষ্কার, আবর্জনা ও পলি অপসারণ এবং দখলমুক্ত করেছি। নর্দমাগুলো পরিষ্কার করেছি। যে সব জায়গায় অবকাঠামো উন্নয়ন, নর্দমা সংস্কার, নর্দমা নির্মান প্রয়োজন ছিল নিজ অর্থায়নে সেগুলোর কাজ আরম্ভ করেছি।

এছাড়াও আজকের পরিদর্শন কার্যক্রমে মেয়র ডিএসসিসির অঞ্চল ২ ও ৫ এর আঞ্চলিক কার্যালয়গুলো সরেজমিন পরিদর্শন করেন। প্রয়োজনীয় সংস্কার ও উন্নয়ন কাজের নির্দেশনা দেন।