×

জাতীয়

জানুয়ারিতে করোনায় মৃতদের ৭৩ শতাংশ টিকা নেননি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৪:৩৩ পিএম

দেশে করোনা সংক্রমণে মৃত্যু বেড়েই চলেছে। গত ডিসেম্বরে মারা গেছেন ৯১ জন। অন্যদিকে জানুয়ারিতে মৃত্যু হয়েছে ৩২২ জনের। এ মাসে মৃতদের ৭৩ শতাংশেই নেননি করোনা টিকা।

আজ বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভার্চুয়াল বুলেটিনে করোনা পরিস্থিতির সাম্প্রতিকতম তথ্য উপস্থাপন করা হয়। ভার্চুয়াল বুলেটিনে তথ্য উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম।

বুলেটিনে উপস্থাপন করা হয়, জানুয়ারিতে মৃত ৩২২ জনের মধ্যে ২৩৪ জন, অর্থাৎ ৭৩ শতাংশ করোনা টিকা নেননি। এদিকে টিকা নিয়েছিলেন ৮৮ জন বা ২৭ শতাংশ। তাদের মধ্যে প্রথম ডোজ নেন ১৮ জন আর দুটি ডোজই নেন ৬৮ জন। তবে মৃতদের মধ্যে বুস্টার ডোজের টিকা পেয়েছিলেন মাত্র দুজন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম বলেন, ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে করোনা শনাক্তের হার ৩১ শতাংশ থেকে ২৯ শতাংশে নেমে এসেছে। তবে একে পরিবর্তন হিসেবে বলা যায় না।

করোনায় মৃত্যু ও শনাক্তের তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, ২০২০ সালের জুন-জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে পাঁচ লাখ ১৩ হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে সাত হাজার ৫৫৯ জনের। এ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি রোগী ছিল ২০২১ সালের জুলাই-আগস্টে। জুলাইয়ে তিন লাখ ৩৬ হাজার এবং আগস্টে দুই লাখ ৫১ হাজার। মৃত্যুর ঘটনাও এই দুই মাসে ছিলো সবচেয়ে বেশি। জুনে ছয় হাজার ১৮২, আগস্টে পাঁচ হাজার ৫১০ জন। তারপর শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা কমতে শুরু করলেও ২০২২ সালের জানুয়ারিতে আবারও বাড়তে শুরু করে।

দেশে করোনা টিকা পরিস্থিতি নিয়ে নাজমুল ইসলাম বলেন, এ পর্যন্ত ৯ কোটি ৭৭ লাখ লোক প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন, দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিয়েছেন ছয় কোটি ২১ লাখ মানুষ। কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে এক কোটি ৮১ লাখ মানুষকে প্রথম ডোজ ও এক কোটির বেশি মানুষকে দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া এক কোটি ৩৯ লাখ স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীদের প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ২২ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থীকে।

পড়ুন : চট্টগ্রামে শনাক্ত ওমিক্রনের নতুন উপধরন ‘বিএ.২’

ইতোমধ্যেই বিশ্বের ৫৭টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার অতিসংক্রামক ধরন ওমিক্রনের উপধরন ‘বিএ.২’। গত মঙ্গলবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিষয়টি ইঙ্গিত করেছে। এছাড়া ফ্রেড হাচিনসন ক্যান্সার সেন্টারের কম্পিউটেশনাল ভাইরোলজিস্ট ট্রেভর বেডফোর্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়, ডেনমার্কে ৮২, যুক্তরাজ্যে ৯ এবং যুক্তরাষ্ট্রে আট শতাংশ সংক্রমণের কারণ এখন ‘বিএ.২’। জিআইএসএআইডি ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘আওয়ার ওয়ার্ল্ড ইন ডেটা’ প্রকল্পের উপাত্ত বিশ্লেষণের পর এ সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন তিনি।

পড়ুন : ওমিক্রনের সাব-ভ্যারিয়েন্ট বিশ্বের ৫৭ দেশে

ওমিক্রনের উপধরন ‘বিএ.২’ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়ে বলেন, কিছু গবেষণা ইঙ্গিত দিয়েছে ওমিক্রনের চেয়ে এর উপধরন (বিএ.২) বেশি সংক্রামক। এর ফলে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা বেড়েছে। তাই কোনোভাবেই যেন রোগীর সংখ্যা না বাড়ে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App