জানুয়ারি মাসে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) দেশের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২১১ কোটি ৬৭ লাখ টাকার চোরাচালান পণ্য ও মাদকদ্রব্য আটক করেছে। এসময় ২৬৭ জন চোরাচালানী, অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ২১৮ জন বাংলাদেশী নাগরিক ও ১৩ জন ভারতীয় নাগরিককে আটকের পর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিজিবির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে দেশের সীমান্ত এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে বিজিবি অভিযান চালিয়েছে। অভিযানকালে বিপুল পরিমান বিভিন্ন প্রকারের চোরাচালান পণ্য সামগ্রী, অস্ত্র ও গোলাবারুদ এবং মাদকদ্রব্য আটক করা হয়। আটককৃত এসব পণ্যের সর্বমোট মূল্য ২১১ কোটি ৬৭ লক্ষ ৯৮ হাজার টাকা।

আটককৃত মাদকের মধ্যে রয়েছে ১৭ লাখ ৫২ হাজার ৯৯১ পিস ইয়াবা, ২১ কেজি ২৩৯ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস, ৩২ হাজার ১৯৪ বোতল ফেনসিডিল, ১৬ হাজার ৪২৭ বোতল বিদেশী মদ, ২ হাজার ১০৯ ক্যান বিয়ার, ২ হাজার ১২৬ কেজি গাঁজা, ৭ কেজি ১৩৯ গ্রাম হেরোইন, ২ হাজার ২৪৯টি ইনজেকশন, ৬ হাজার ৭৬১টি ইস্কাফ সিরাপ, ২ হাজার ৫৭৫ বোতল এমকেডিল/কফিডিল, বিপুল পরিমান এ্যানেগ্রা/সেনেগ্রা ট্যাবলেট।

চোরাচালান দ্রব্যের মধ্যে আছে ২ কেজি ৭০৮ গ্রাম স্বর্ণ, ৫৯ কেজি ৭৫ গ্রাম রূপা, বিপুল পরিমান কসমেটিক্স, ১৩ হাজার ৪২৯টি ইমিটেশন গহনা, ৮ হাজার ৪৯০টি শাড়ী, ১ হাজার ৬২৫টি থ্রিপিস/শার্টপিস/চাদর/কম্বল, থান কাপড়, কাঠ, ১২টি ট্রাক/কাভার্ডভ্যান, ৫টি প্রাইভেটকার/মাইক্রোবাস, ১৮টি পিকআপ, ৩০টি সিএনজি/ইজিবাইক এবং ৬৩টি মোটর সাইকেল।

উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ৩টি পিস্তল, ২টি বিভিন্ন ধরনের বন্দুক, ১৬ রাউন্ড গুলি, ৫টি ম্যাগাজিন, ৫টি খালি খোসা, ৬টি ডেটোনেটর এবং ৬টি আইইডি। এছাড়াও সীমান্তে বিজিবি’র অভিযানে ইয়াবাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক পাচার ও অন্যান্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ২৬৭ জন চোরাচালানীকে এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ২১৮ জন বাংলাদেশী নাগরিক ও ১৩ জন ভারতীয় নাগরিককে আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।