সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)–এর সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারের বিরুদ্ধে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা এক কোটি টাকার অনিয়মের যে অভিযোগ করেছেন, সেটিকে বিদ্বেষমূলক হিসেবে উল্লেখ করেছেন দেশের ৩৭ জন বিশিষ্ট নাগরিক। তারা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এই অভিযোগ প্রমাণে ব্যর্থ হলে সিইসিকে জাতির কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। ৩৭ জন বিশিষ্ট নাগরিক মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান।

বিবৃতিদাতা বিশিষ্ট নাগরিকেরা হলেন- সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, এম এ মতিন, সুলতানা কামাল, হাফিজ উদ্দিন খান, রাশেদা কে চৌধূরী, মহিউদ্দিন আহমেদ, দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, হামিদা হোসেন, আলী ইমাম মজুমদার, জাফরুল্লাহ চৌধুরী, শাহ্দীন মালিক, সারা হোসেন, সুব্রত চৌধুরী, তবারক হোসেইন, আসিফ নজরুল, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, আলী রীয়াজ, স্বপন আদনান, রোবায়েত ফেরদৌস, শাহনাজ হুদা, শহিদুল আলম, শিরিন হক, ফরিদা আখতার, সঞ্জীব দ্রং, নূর খান, অরূপ রাহী, রেহনুমা আহমেদ, নায়লা জেড খান, নাসের বখতিয়ার, হানা শামস আহমেদ, পারভীন হাসান, ফিরদৌস আজিম, সায়দিয়া গুলরুখ, সায়েমা খাতুন, মাইদুল ইসলাম, নোভা আহমেদ ও রোজিনা বেগম।

বিবৃতিতে বিশিষ্ট নাগরিকেরা জানান, ২৭ জানুয়ারি এক অনুষ্ঠানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নূরুল হুদা সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারের বিরুদ্ধে এক কোটি টাকার অনিয়মের অভিযোগসহ কিছু ভিত্তিহীন, অশালীন ও বিদ্বেষমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। বদিউল আলম মজুমদার ইতিমধ্যে ওই বক্তব্যকে বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে আখ্যায়িত করে এসব অভিযোগের প্রমাণ দেয়ার জন্য চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, বদিউল আলম মজুমদার প্রতিটি সরকারের আমলেই নির্বাচনী কারচুপি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকেন। কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশন ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ বিভিন্ন স্থানীয় নির্বাচনে চরম কারচুপি ও অনিয়ম প্রতিরোধে শুধু ব্যর্থতা নয়, বরং এর সহযোগীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচন আগের রাতে অনুষ্ঠিত হওয়ার গুরুতর অভিযোগের তদন্ত করার এখতিয়ার থাকা সত্ত্বেও তাঁর কমিশন এটি না করে চরম দায়িত্বহীনতার পরিচয় দেয়।

বিবৃতিদাতারা বলেন, আমরা মনে করি এসব অপকর্ম আড়াল করার জন্য তিনি (সিইসি) বিদ্বেষমূলকভাবে বদিউল আলম মজুমদার, সুজন ও দেশের কয়েকজন বিশিষ্ট নাগরিকের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনে ধূম্রজাল সৃষ্টির চেষ্টা করছেন। দেশের নির্বাচনব্যবস্থায় সততা ও আস্থা ফিরিয়ে আনার স্বার্থে নির্বাচনী সংস্কারের পাশাপাশি তাঁর মতো ব্যক্তির বিচার করাও রাষ্ট্রের আবশ্যকীয় দায়িত্ব বলে আমরা মনে করি।