×

জাতীয়

সর্বোচ্চ সাজার আশা রাষ্ট্রপক্ষ ও বাদী পক্ষের আইনজীবীর

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩১ জানুয়ারি ২০২২, ১১:২৮ এএম

সর্বোচ্চ সাজার আশা রাষ্ট্রপক্ষ ও বাদী পক্ষের আইনজীবীর

মেজর সিনহা এবং ওসি প্রদীপ

কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।

এ ঘটনায় ৫ আগস্ট সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে দায়ের করা মামলার রায় দেয়ার জন্য আজ সোমবার (৩১ জানুয়ারি) সময় নির্ধারণ করেছে আদালত। দীর্ঘ দেড় বছরে এসে আলোচিত এই মামলার রায় দেয়া হবে। ২৯ কর্মদিবস পর আদালত এই মামলার রায় দেবেন। তবে রায় নিয়ে রাষ্ট্র-বাদীপক্ষের সঙ্গে আসামি পক্ষের আইনজীবীর ভিন্নমত রয়েছে।

মামলার রাষ্ট্র ও বাদীপক্ষের আইনজীবী জানিয়েছেন, মেজর সিনহা হত্যাকাণ্ডটি পরিকল্পিত হত্যা বলে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। আশা করছেন, সর্বোচ্চ সাজা হবে আসামিদের। তবে এটা মানতে রাজি নন, আসামি পক্ষের আইনজীবী। তিনি বলেন, বিষয়টি প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছে বাদী ও রাষ্ট্র। ন্যায়বিচার না পেলে উচ্চ আদালতে আপিল করার কথা বলেন তিনি।

মামলার নথিপত্রের তথ্যমতে, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় দুটি এবং রামু থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। কিন্তু ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে কক্সবাজার আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি টেকনাফ থানায় নথিভূক্ত করার পর আদালত তদন্তভার দেন র‌্যাবকে। একই সঙ্গে পুলিশের দায়ের করা মামলা তিনটিও র‌্যাবকে তদন্ত করার আদেশ দেন আদালত। ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন র‌্যাব-১৩ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) খাইরুল ইসলাম।

তবে একটি সূত্র জানিয়েছে, মামলার রায়ের দিন আরও পেছাতে পারে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App