×

সাহিত্য

শেষ হলো ‘প্রথম বঙ্গবন্ধু জাতীয় আবৃত্তি উৎসব’

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩১ জানুয়ারি ২০২২, ০৯:২৫ পিএম

শেষ হলো ‘প্রথম বঙ্গবন্ধু জাতীয় আবৃত্তি উৎসব’

সোমবার সমাপনী আয়োজনের শুরুতেই তিনটি কবিতার সমন্বয়ে সম্মেলক কণ্ঠে কোলাজ পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পীরা। ছবি: ভোরের কাগজ

কবিতার দীপ্ত উচ্চারণের সঙ্গে স্মারক সম্মাননা প্রদানের মধ্য দিয়ে শিল্পকলা একাডেমিতে শেষ হলো বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের পাঁচদিনের ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় আবৃত্তি উৎসব’।

সোমবার (৩১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনের সমাপনী আয়োজনে অতিথি ছিলেন নসরুল হামিদ ফাউণ্ডেশনের পরিচালক সীমা হামিদ।

পরিষদের সভাপতি সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন দেশবরেণ্য আবৃত্তিশিল্পীরা।

সমাপনী আয়োজনের শুরুতেই অন্তর মম বিকশিত করো অন্তর হে, দাও শৌর্য্য দাও বীর্য হে উদারনাথ এবং আবার আসিব ফিরে ধানসিঁড়িটির তীরে’ এই তিনটি কবিতাটির সম্মেলক কণ্ঠে কোলাজ পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পীরা। বাচিকশিল্পী আহকামউল্লাহর সঙ্গে এসময় কণ্ঠ মেলান মঞ্চে উপস্থিত আবৃত্তিশিল্পীরা। এরপর সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয় বরেণ্য আবৃত্তিশিল্পীদের।

স্বাগত বক্তৃতায় আহকামউল্লাহ বলেন, আবৃত্তিশিল্পীদের যুথবদ্ধ আন্দোলনের ফসল হিসেবে আবৃত্তি বর্তমানে শিল্পের মর্যাদা লাভ করেছে। প্রত্যেক আবৃত্তিশিল্পী একটি যৌথ পরিবারের সদস্য হিসেবে আজকের এই অবস্থানে আবৃত্তি উন্নীত হয়েছে। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠযোদ্ধা আবৃত্তিশিল্পী আশরাফুল আলম মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষদের উজ্জীবিত করতে সক্ষম হয়েছেন। তার সেই স্বীকৃতি হিসেবে তিনি স্বাধীনতা পদক পেয়েছেন। আবৃত্তিশিল্পের জন্য এটা এক গর্বের অর্জন। এই পথে যারা হাঁটছে আমরা তাদের পথ হাঁটার সঙ্গী হওয়ার চেষ্টা করেছি। কতটুকু পেরেছি সেটা বলার ভার সকল আবৃত্তিশিল্পীর উপর ছেড়ে দিলাম। প্রথিতযশা আবৃত্তিশিল্পী ও সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূরের নেতৃত্বে আবৃত্তিকে একটি সম্মানজনক অবস্থানে নেওয়ার জন্য আমরা আন্দোলন করেছি। সেই আন্দোলনের ফসল হিসেবে ২০১১ সালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আবৃত্তি বিভাগ যুক্ত করে। এবার ২০২০ ও ২০২১ সালের ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আবৃত্তি পদক ’ প্রদান করেছি। এখন থেকে প্রতি বছর আমরা আবৃত্তিশিল্পীরদেরকে এই পদক প্রদান করবো।

সমাপনী আয়োজনে আবৃত্তিশিল্পীদের সম্মাননা জানানোর পাশাপাশি নসরুল হামিদ ফাউণ্ডেশনের পরিচালক সীমা হামিদকে প্রদান করা হয় ‘উৎসব স্মারক’।

অনুষ্ঠানে আবৃত্তি পরিবেশন করেন ৫০ গুণী শিল্পী।

২৭ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সকালে গণভবন থেকে অনলাইনে যুক্ত থেকে পাঁচদিনের এই উৎসবের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই দিন প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে পদকপ্রাপ্তদের হাতে পদক তুলে দেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App