×

সম্পাদকীয়

ফাইভ-জির গ্রাহকসেবা নিশ্চিত করাই চ্যালেঞ্জ

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ৩১ জানুয়ারি ২০২২, ০১:১০ এএম

অপারেটরদের অনাগ্রহে ঝুলে আছে ফাইভ-জির কার্যক্রম। আগামী মার্চে বেতার তরঙ্গ বরাদ্দ নিলামে দেয়ার পর বেসরকারি তিনটি মোবাইল অপারেটর এই প্রযুক্তি চালু করার কথা। গতকাল ভোরের কাগজে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকার মার্চেই ফাইভ-জির তরঙ্গ নিলাম করতে চায়। কিন্তু এ নিলামে বেসরকারি অপারেটররা অংশ নেবে কিনা, তা এখনো নিশ্চিত নয়। তারা বলছে, দেশে এখনই ফাইভ-জির উপযুক্ত বিনিয়োগ পরিবেশ তৈরি হয়নি। বিষয়টি নির্ভর করছে তরঙ্গ নিলামের শর্ত ও ফাইভ-জি নীতিমালার ওপর। যার কোনোটিই এখনো চূড়ান্ত হয়নি। অপারেটরদের অভিযোগগুলো প্রাসঙ্গিক। দেশে মোবাইল ফোন অপারেটররা যেখানে থ্রি-জি কিংবা ফোর-জি সেবা ঠিকমতো দিতে পারছে না, সেখানে এই নতুন সেবা কতটা দিতে পারবে- প্রশ্নটি সামনে আসছে। বর্তমানে দেশে কোনো অপারেটরই গ্রাহকদের মানসম্পন্ন থ্রি-জি সেবাও দিতে পারছে না। ফোর-জি দূরের কথা। সাধারণভাবে এ সেবাগুলো সাশ্রয়ী হওয়ার কথা ছিল। এতদিন অপারেটরগুলো যে সেবা দিয়ে আসছে তা যথেষ্ট সাশ্রয়ী নয়। ৫০ শতাংশের অধিক গ্রাহক এখনো ফোর-জির আওতার বাইরে। এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠেছে, ফাইভ-জি চালুর সিদ্ধান্ত কতটা বাস্তবসম্মত। দেশে টু-জি মোবাইল ফোন সেবার পরিবর্তে ২০১৩ সালে থ্রি-জি সেবা চালু করা হয়। এরপর ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে চালু হয় ফোর-জি সেবা। ফোর-জি চালু হলেও সারাদেশে থ্রি-জি সেবাই সঠিকভাবে নিশ্চিত হয়নি এখনো। ফাইভ-জির বেলায় কি একই অবস্থা হবে? এ রকম নানা প্রশ্ন গ্রাহকদের মাঝে ঘুরপাক খাচ্ছে। আর এই নিম্নমানের সেবার কারণে সরকারও অপারেটরের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক কোনো ব্যবস্থা নিয়েছে, সেটাও আমাদের জানা নেই। অপারেটর কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে অভিযোগের যেন অন্ত নেই। অতিরিক্ত অর্থ কেটে নেয়া থেকে শুরু করে নানা অভিযোগ হরহামেশাই আসছে গণমাধ্যমে। মূলত নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্নতা, নিম্নমানের ভয়েস সেবা, কল ড্রপ, এসএমএস আদান-প্রদানে সময়ক্ষেপণ ও নানা প্রলোভন দেখিয়ে অতিরিক্ত অর্থ কেটে নেয়ার অভিযোগগুলোই বেশি। এমন অবস্থা কাম্য ছিল না। গ্রাহক স্বার্থ রক্ষায় নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষকে আরো কঠোর হতে হবে। প্রয়োজনে অভিযোগের ধরন বিবেচনায় জরিমানাসহ শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। ফাইভ-জির মানসম্মত সেবা ও সুলভ সাশ্রয়ী রেট নিশ্চিত করতে হবে। এটা সত্য, এই সেবা চালু হলে ফোর-জি প্রযুক্তির চেয়ে নেটওয়ার্ক সক্ষমতা বহুগুণ বেড়ে যাবে। বিশেষ করে চিকিৎসাসেবায় ব্যবহৃত শরীরে লাগানো ফিটনেস ডিভাইসগুলো নিখুঁত সময়ে সংকেত দিতে পারবে, জরুরি চিকিৎসা বার্তাও পাঠাতে পারবে। ফাইভ-জি সেবা বাস্তবায়ন করতে হলে গ্রাহক স্বার্থ রক্ষায় বিটিআরসি আরো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন ও তদারকি ব্যবস্থা জোরদার করবে- এমনটাই প্রত্যাশা করছি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App