×

জাতীয়

ওসি প্রদীপের ফাঁসির দাবিতে আদালত চত্বরে মানববন্ধন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩১ জানুয়ারি ২০২২, ১২:৩৫ পিএম

ওসি প্রদীপের ফাঁসির দাবিতে আদালত চত্বরে মানববন্ধন

সিনহা হত্যায় মূল আসামি ওসি প্রদীপের ফাঁসির দাবিতে কক্সবাজারে আদালত চত্বরে সোমবার মানববন্ধন করেছেন স্থানীয়রা। ছবি: সংগৃহীত

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেয়র সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার আসামি কক্সবাজারের টেকনাফ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয়রা।

আজ সোমবার (৩১ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার সময় কক্সবাজার আদালত চত্বরে এ মানববন্ধন শুরু হয়।

মানবন্ধনে অংশগ্রহণকারীদের অভিযোগ, ওসি প্রদীপ কুমার দাশ টেকনাফে দায়িত্বে থাকার সময় অনেক নিরীহ মানুষজনকে হয়রানি এবং নির্যাতন করেছেন। ১৪৫ জন নিরীহ মানুষকে ক্রসফায়ার দিয়েছেন। আজ সিনহা হত্যা মামলার রায়ে তার ফাঁসির দাবি করেন মানবন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা।

সর্বশেষ খবর অনুযায়ী দুপুর দুটো নাগাদ সিনহা হত্যা মামলার রায় দেয়ার কথা আছে। এর মধ্যেই আদালত চত্বরে স্থানীয়দের মানববন্ধন বিচার কাজকে ভালোভাবেই প্রভাবিত করতে পারে বলে ধারণা করছেন অনেকেই। গত ১২ জানুয়ারি মূল আসামি ওসি প্রদীপের আইনজীবীর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার এ তারিখ নির্ধারণ করা হয়। সেদিন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) ফরিদুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এ মামলায় কারাবন্দী ১৫ আসামি- টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের তৎকালীন পরিদর্শক লিয়াকত আলী, ওসি প্রদীপের দেহরক্ষী রুবেল শর্মা, বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের বরখাস্ত উপপরিদর্শক (এসআই) নন্দ দুলাল রক্ষিত, বরখাস্ত কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন ও আবদুল্লাহ আল মামুন, বরখাস্ত সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) লিটন মিয়া, বরখাস্ত কনস্টেবল সাগর দেব, বরখাস্ত এপিবিএনের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শাহজাহান, বরখাস্ত কনস্টেবল মো. রাজীব ও মো. আবদুল্লাহ, টেকনাফ থানায় পুলিশের করা মামলার সাক্ষী টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরের মারিশবুনিয়া গ্রামের নুরুল আমিন, মো. নেজামুদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন।

২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ রোডের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি (টেকনাফ থানায় দুটি, রামু থানায় একটি) মামলা দায়ের করে। এরপর ৬ আগস্ট ওসি প্রদীপ, পরিদর্শক লিয়াকতসহ মামলার আসামি সাত পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। তদন্তের পর হত্যার ঘটনায় স্থানীয় তিন গ্রামবাসী, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) তিন সদস্য, ওসি প্রদীপের দেহরক্ষীসহ আরও সাতজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এরপর ২০২০ সালের ২৪ জুন চার্জশিটভুক্ত আসামি কনস্টেবল সাগর দেব আত্মসমর্পণ করলে এ মামলার ১৫ আসামিই আইনের আওতায় আসেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App