×

সারাদেশ

নরসিংদীতে আ. লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ-গুলি, নিহত ২

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩০ জানুয়ারি ২০২২, ০৯:৫৭ পিএম

নরসিংদীতে আ. লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ-গুলি, নিহত ২

রবিবার সকালে আধিপত্য বিস্তার ও গ্রামে ফেরাকে কেন্দ্র করে বাঁশগাড়ী ও মির্জাচর ইউনিয়নে এ সংঘর্ষের সৃষ্টি

নরসিংদীতে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ১ জন গুলিবিদ্ধসহ ২ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১০ জন। রবিবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে আধিপত্য বিস্তার ও গ্রামে ফেরাকে কেন্দ্র করে রায়পুরার দুর্গম চরাঞ্চল বাঁশগাড়ী ও মির্জাচর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।

এদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ হয়ে নূরুল নামে একজনকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে এলাকা দুটিতে উত্তেজনা বিরাজ করছে। খবর পেয়ে রায়পুরা থানা পুলিশসহ অতিরিক্ত পুলিশ এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে।

নিহতরা হলেন- রুবেল মিয়া (৩২) ও মামুন মিয়া (৩০)। নিহত রুবেল মিয়া রায়পুরার মির্জাচরের মানিক মিয়ার ছেলে। তিনি মির্জাচরের সাবেক চেয়ারম্যান ফারুকুল ইসলামের চাচাতো ভাই। অপর নিহত মামুন মিয়া মির্জাচর গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে। তিনি মির্জাচর ইউনিয়নের নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান জাফর ইকবাল মানিকের সমর্থক।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, এলাকার অধিপত্য ও নির্বাচনী সহিংসতার জের ধরে দীর্ঘদিন যাবত নরসিংদী রায়পুরার বাঁশগাড়ী ইউনিয়নের সদ্য সাবেক আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান আশ্রাফুল হকের সঙ্গে বাঁশগাড়ী ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান জাকির হোসেন রাতুলের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। দ্বন্দ্বের জের ধরে তাদের মধ্যে একাধিক বার হামলা-পাল্টা হামলা ও মামলার ঘটনা ঘটে। ওই সব হামলায় একাধিক লোক নিহতসহ প্রায় ৩ শতাধিক মানুষ আহত হয়।

এরই মধ্যে ২য় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান তৎকালীন চেয়ারম্যান আশ্রাফুল হক। দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নেয় জাকির হোসেন রাতুল। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব আরও তীব্র হয়। এদিকে নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে নির্বাচনের দিন ভোর রাত থেকেই কেন্দ্র দখলের চেষ্টা চালায়।

এরই জের ধরে রাত ৩টার দিকে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান জাকির হোসেন রাতুলের সমর্থকরা দেশি-বিদেশি অস্ত্র-শস্ত্র ও গোলাবারুদ নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান আশ্রাফুল হকের সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়। ওই সময় উভয়পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বেধে যায়।

সংঘর্ষে নির্বাচনের দিন সকালে নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান রাতুলের ২ সমর্থক ও আশ্রাফুলের ১ সমর্থক সহ ৩ জন নিহত হয়। আহত হয় কমপক্ষে শতাধিক মানুষ। ১১ নভেম্বর নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী জাকির হোসেন রাতুল বিজয়ী হওয়ার পর এলাকা ছাড়া হয়ে পড়ে সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান আশ্রাফুল হক ও তার সমর্থকরা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App