×

জাতীয়

৫০ বছরে বাস্তুচ্যুত হবে ৩০ লাখ মানুষ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৯ জানুয়ারি ২০২২, ০৯:৪৫ পিএম

৫০ বছরে বাস্তুচ্যুত হবে ৩০ লাখ মানুষ

শনিবার বাংলাদেশ রিভার ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে কুয়াকাটায় উপকূলীয় নদী সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। ছবি: ভোরের কাগজ

‘স্বর্গতুল্য বঙ্গভূমি’ নামে পরিচিতি পাওয়া বাংলাদেশের ব-দ্বীপ অঞ্চল সেই ঐতিহ্য হারিয়ে ফেলছে। যে নদ-নদীগুলোর জল ও পলির আশির্বাদ নিয়ে বাংলাদেশ ‘স্বর্গভূমি’ হয়ে উঠেছিল সেই নদ-নদীই এখন বিলীন হতে বসেছে। দেশের ১৯টি উপকূলীয় এলাকা ঘিরেই তৈরি হয়েছিল বিস্তীর্ণ যে অঞ্চল সেই অঞ্চলে মানুষের লোভের শিকার হয়ে প্রাকৃতিক বিপর্যয় নেমে আসছে। সেই বিপর্যয় বিস্তীর্ণ উপকূলকে ধ্বংস করে বাংলাদেশকে প্রাকৃতিক সংকটের মুখে ফেলেছে। যেই সংকটে আগামি ৩০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের জলবায়ু উদ্বাস্তুর হারকে ৭ গুণ বাড়িয়ে দেবে। আর আগামি ৫০ বছরের মধ্যে আরও ৩০ লাখ মানুষ বাস্তুভিটা ছেড়ে যেতে বাধ্য হবেন।

শনিবার (২৯ জানুয়ারি) বাংলাদেশ রিভার ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে কুয়াকাটায় আয়োজিত ‘উপকূলীয় নদী সম্মেলনে’ বক্তারা এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ রিভার ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে উপকূলীয় নদী সম্মেলনটি যৌথভাবে আয়োজন করেছে বাংলাদেশ নদী পরিব্রাজক দল, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের ৪৮ নদী সমীক্ষা প্রকল্প, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন, ওয়াটারকিপারস বাংলাদেশ, বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডস জয়েন্ট কো-অপারেশন প্রোগ্রাম, রিভার অ্যান্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টার (আরডিআরসি), পরিবেশ ও নদী রক্ষা ফাউন্ডেশন ও গ্রীন প্ল্যানেট।

প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবুর সভাপতিত্বে অনুষ্টিত উপকূলীয় নদী সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মনজুরুল কিবরিয়া, ওয়াটার কিপার বাংলাদেশ এর সমন্বয়কারি ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল ও রিভার এন্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টারের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এজাজ।

এই সম্মেলনের সহযোগী পার্টনার হিসেবে রয়েছে হালদা রিভার রিসার্চ ল্যাবরেটরি, ইসাবেলা ফাউন্ডেশন, নেকম, নদী অধিকার মঞ্চ, ওয়ার্ল্ড একাডেমি অব রিভার অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট ও রিভার বাংলা।

বক্তারা বলেন, নদী ভাঙ্গন, লবণাক্ততা, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতাবৃদ্ধি, যত্রতত্র অবাধে অবকাঠামো নির্মাণ, নদীগুলোতে পলিপ্রবাহে মাত্রাতিরিক্ত বাধার সৃষ্টি, বাগদা চিংড়ি চাষ করতে অবাধে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বাঁধ কেটে লবণপানি ঢোকানো, যথেচ্ছ মৎস্যশিকার, মাটির উর্বরা শক্তি হ্রাস দেশের উপকূলীয় অঞ্চল, নদ-নদী ও উপকূলের মানুষগুলোকে নিঃস্ব করে তুলছে।

এসব কারণে মানুষ ঘর-বাড়ি, জমি হারিয়ে বাঁচার তাগিদে জন্মভিটার মায়া ছেড়ে শহরমুখী হতে বাধ্য হচ্ছেন। গণহারে বন ধ্বংস ও মাত্রাতিরিক্ত কার্বণ নিঃসরণে উত্তর ও দক্ষিণ মেরুতে জমাট বরফ গলতে শুরু করেছে। সেই বরফগলা পানি মিশে ধীরে ধীরে সাগরের উচ্চতা বাড়ছে। যা বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের মতো সাগর তীরবর্তী দেশগুলোকে বিপদে ফেলে দিয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App