×

চিত্র বিচিত্র

সুন্দরী হয়েও যে কারণে জীবনসঙ্গী পাচ্ছেন না গ্রামটির তরুণীরা!

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৯ জানুয়ারি ২০২২, ০৪:৩৫ পিএম

সুন্দরী হয়েও যে কারণে জীবনসঙ্গী পাচ্ছেন না গ্রামটির তরুণীরা!

প্রতীকী ছবি

দক্ষিণ-পূর্ব ব্রাজিলের পাহাড়ি গ্রাম নোইভা ডো কোরডোইরো। এই গ্রামের জনসংখ্যার পুরোভাগই নারী। ছয় শতাধিক নারীর বসবাস এই গ্রামে।

আশ্চর্যের কথা হলো, এই গ্রামের বিবাহিত নারীরা কখনো শ্বশুরবাড়িতে যান না। ফলে কেউ এই গ্রামের মেয়েকে বিয়ে করলে তাকে গ্রামের বাইরে স্ত্রীকে নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন বিসর্জন দিতে হয়। সপ্তাহ শেষে দুদিন স্ত্রীকে দেখতে আসার অবকাশ পান তারা। এছাড়া, এই গ্রামে জন্মগ্রহণকারী ছেলেদের ১৮ বছর বয়সেই বাইরে পাঠানো হয়। এতে গ্রামটি হয়ে উঠছে পুরুষশূন্য। খবর ন্যাশনালপোস্টের।

পুরুষদের জন্য একই সঙ্গে আনন্দ ও আক্ষেপের বিষয় হলো, এই গ্রামের নারী ও তরুণীরা খুবই সুন্দরী হন। বিয়ের উপযুক্ত হলেও পাত্রের অভাবে অবিবাহিত অবস্থায়ই থেকে যেতে হচ্ছে তরুণীদের। কোনো মেয়েই গ্রাম ছেড়ে যেতে রাজি নন। অনুসন্ধানে জানা গেছে, গ্রামটিতে একটি রীতি আছে যে বিয়ের পর কোনো মেয়ে গ্রাম ছেড়ে যেতে পারবেন না। উল্টো স্বামীকেই ওই গ্রামে তার স্ত্রীর সঙ্গে থাকতে হবে। ফলে এটা একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে ওই গ্রামের তরুণীদের জন্য। গ্রামেই স্ত্রীর সঙ্গে থাকতে হবে বলে আশপাশের এলাকার কোনও পুরুষই ওই গ্রামে বিয়ে করতে চান না। ফলে বিবাহযোগ্যা হয়েও মেয়েদের অবিবাহিত থাকতে হচ্ছে কেবল ওই রীতির জন্য।

তবে এ রীতির পেছনেও একটি কাহিনি রয়েছে। জানা যায়, ১৮৯০ সালে মারিয়া সেনহোরিনা ডি লিমা নামে একটি মেয়েকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে দেয়া হয়। এরপরই তিনি শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে নোইভা ডো কোরডোইরো এলাকায় চলে আসেন। ১৮৯১ সালে তিনি এখানে একটি গ্রাম গড়ে তোলেন। আর তখন থেকেই স্থির হয় এই গ্রামের কোনো মেয়ে বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ি যাবে না। স্বামীকেই স্ত্রীর সঙ্গে থাকতে হবে। গ্রামের এই অদ্ভুত রীতির কারণেই অবিবাহিত থাকতে হচ্ছে তরুণীদের।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App