×

জাতীয়

চলতি অর্থবছরে সারে ভর্তুকি লাগবে ২৮ হাজার কোটি টাকা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৯ জানুয়ারি ২০২২, ০৯:০২ পিএম

চলতি অর্থবছরে সারে ভর্তুকি লাগবে ২৮ হাজার কোটি টাকা

শনিবার ঢাকায় ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক বাজারে সারের দাম বাড়ায় দেশে চলতি অর্থবছরে (২০২১-২২) সারে ভর্তুকিতে ২৮ হাজার কোটি টাকা লাগবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।

শনিবার (২৯ জানুয়ারি) ঢাকায় এফডিসিতে ‘নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে সরকারের যথাযথ পদক্ষেপ নিয়ে’ ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস উপলক্ষে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি এ বিতর্ক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, এতো বিশাল অংকের ভর্তুকি কোথা থেকে আসবে এ বিষয়ে সরকার দু:শ্চিন্তায় রয়েছে। তবে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের গতি শ্লথ হলেও সারে ভর্তুকি দিয়ে যাবে সরকার।

বর্তমান সরকার কর্তৃক সারের ৪ দফা দাম কমানোর যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত ও ভর্তুকি দেওয়ার প্রসঙ্গ তুলে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, চলতি অর্থবছরে সারের ভর্তুকিতে ২৮ হাজার কোটি টাকা লাগবে। এখন পর্যন্ত ১৯ হাজার কোটি টাকার ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে এবং আগামী জুন পর্যন্ত আরও ৯ হাজার কোটি টাকা (মোট ২৮ হাজার কোটি) প্রয়োজন হবে। আন্তর্জাতিক বাজারে সারের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি ও পরিবহণ ব্যয় বাড়ার ফলেই এ বিশাল অংকের ভর্তুকি লাগবে। এমনিতে আমাদের প্রতিবছর ৮ থেকে ৯ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকিতে লাগে।

তিনি বলেন, এতো ভর্তুকি দিলে অন্যান্য উন্নয়ন কর্মকাণ্ড স্থবির হয়ে যাবে। কিন্তু কৃষকবান্ধব ও কৃষকদরদী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন কৃষকের কল্যাণে ও কৃষির উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে এ মুহূর্তে সারের দাম বাড়াবেন না। অন্যান্য উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের গতি শ্লথ হলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারে ভর্তুকি দিয়ে যাবেন।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ৬ হাজার কোটি টাকার ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে, প্রক্রিয়াধীন রয়েছে ১৩ হাজার কোটি টাকা। আর জুন পর্যন্ত প্রয়োজন হবে আরও ৯ হাজার কোটি টাকা। কৃষি মন্ত্রণালয়ের পর্যালোচনায় এ তথ্য উঠে এসেছে। এদিকে গত ২০২০-২১ অর্থবছরে সারে ভর্তুকি দেওয়া হয়েছিল ৭ হাজার ৭০০ কোটি টাকা।

আগামী ৩-৪ বছরের মধ্যে সবার জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা সম্ভব হবে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার সবার জন্য নিরাপদ খাবারের নিশ্চয়তা দিতে নিরলসভাবে কাজ করছে। সেজন্য নিরাপদ খাদ্য আইন প্রণয়ন করেছে, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ গঠিত হয়েছে। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সক্ষমতা বৃদ্ধির কাজ চলছে। এছাড়া ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক মানের অনেকগুলো ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। আরও অনেকগুলো স্থাপনের উদ্যোগ চলছে।

বিদেশে রপ্তানি করার ক্ষেত্রেও নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তা দিতে হবে উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, নিরাপদ ফসলের উৎপাদনের প্রচেষ্টা চলছে। ইতোমধ্যে উত্তম কৃষি চর্চা মেনে উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এটি মেনে ফসল উৎপাদিত হলে খাবার যেমন নিরাপদ ও পুষ্টিকর হবে, তেমনই রপ্তানি বৃদ্ধি পাবে। পূর্বাচলে আন্তর্জাতিক মানের প্যাকিং হাউস ও ল্যাব স্থাপনের কাজ চলছে। সরকারের এসব পদক্ষেপের ফলে আগামী ৩-৪ বছরের মধ্যে সবার জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে আমরা সক্ষম হবো।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App