ভুয়া এনআইডি বানিয়েও র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার সৈয়দ আহম্মেদ
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৮ জানুয়ারি ২০২২, ০৩:০৫ পিএম
মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়েও ২২ বছর পালিয়ে থাকা সৈয়দ আহম্মেদকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৭। ছবি: সংগৃহীত
নাম বদলে দুটো ভুয়া এনআইডি তৈরি করিয়ে নিয়েছিলেন চট্টগ্রামের জানে আলম হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডের রায় মাথায় নিয়ে পালিয়ে থাকা আসামি সৈয়দ আহম্মেদ। ২২ বছর ধরে বিভিন্ন মাজারে দারোয়ান কিংবা বাবুর্চির ছদ্মবেশে আত্মগোপনে ছিলেন। সেই সৈয়দ আহম্মেদকে (৬০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গত বুধবার চট্টগ্রামের আকবর শাহ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৭ অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম এ ইউসুফ। তাকে গ্রেপ্তারের ঘটনা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, আকবর শাহ এলাকায় সৈয়দ আহম্মেদের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে বুধবার সেখানে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি জানান, গ্রেপ্তারকৃত সৈয়দ আহম্মদের বাড়ি চট্টগ্রামের লোহাগড়ার আমিরাবাদে। জমিজমা নিয়ে বিবাদের জের ধরে ২০০১ সালের নভেম্বর থেকে ২০০২ সালের মার্চের মধ্যে লোহাগাড়া উপজেলায় মাহমুদুল হক এবং তার বড় ভাই ব্যবসায়ী জানে আলমকে হত্যা করা হয়। এই দুই মামলার এজাহারেই আসামির তালিকায় সৈয়দ আহম্মদের নাম ছিল। এর মধ্যে জানে আলম হত্যা মামলায় ২০০৭ সালে সৈয়দ আহম্মেদসহ ১২ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং আট জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় আদালত। পরে হাইকোর্টে সৈয়দ আহম্মেদসহ ১০ জনের ফাঁসির রায় বহাল থাকে।
র্যাব-৭ অধিনায়ক এম এ ইউসুফ আরও জানান, জানে আলমকে হত্যার পর সৈয়দ আহম্মেদ বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে ছিলেন। পরিবারের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে কিছুদিন উপকূলীয় এলাকায় এবং পরে সীতাকুণ্ডে অবস্থান করেন। পরিচয় গোপন রাখতে দুটি ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্রও তৈরি করিয়ে নেন তিনি।
তিনি বলেন, মাহমুদুল হককে খুনের পর বাঁশখালী উপজেলায় আত্মগোপন করে ছিলেন সৈয়দ আহম্মেদ। সেখান থেকে জলদস্যুদের সাথে সমুদ্রে চলে যান। চার মাস পর লোহাগাড়ায় ফিরে এসে মাহমুদুলের বড় ভাই জানে আলমকে হত্যায় অংশ নেন তিনি।
র্যাব-৭ অধিনায়ক আরও বলেন, ছোট ভাইয়ের হত্যা মামলার অন্যতম সাক্ষী ছিলেন ব্যবসায়ী জানে আলম। তিনিই মামলা পরিচালনা করছিলেন। তাই আসামিদের ধারণা ছিল, জানে আলমকে খুন করতে পারলে মামলা আর এগোবে না এবং তার সম্পত্তিও ভোগ করতে পারবে। সে কারণে তাকেও তারা হত্যা করে।