×

জাতীয়

ইসি গঠন বিল ‘তড়িঘড়ি’ পাস

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৮ জানুয়ারি ২০২২, ০৮:২৭ এএম

ইসি গঠন বিল ‘তড়িঘড়ি’ পাস

বিএনপি ও জাপার তীব্র বিরোধিতা সার্চ কমিটিতে থাকবেন একজন নারী সদস্য

জাতীয় পার্টি ও বিএনপির সদস্যদের তুমুল বিরোধিতার মধ্যেই গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে পাস হলো বহুল আলোচিত নির্বাচন কমিশন গঠনের আইন। আইনে অনুসন্ধান কমিটিতে রাষ্ট্রপতির মনোনীত দুই ‘বিশিষ্ট নাগরিকের’ মধ্যে একজন নারীকে রাখা এবং সার্চ কমিটির কাজ ১০ কার্যদিবসের পরিবর্তে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে শেষ করার বিধানসহ ছোটখাটো বেশ কয়েকটি পরিবর্তন আনা হয়।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদে ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল-২০২২’ পাসের প্রস্তাব করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। জাতীয় পার্টি ও বিএনপির সংসদ সদস্যরা আইনটি পাসের তীব্র বিরোধিতা করেন। তারা বলেন, খসড়া আইনটি ‘তড়িঘড়ি করে’ আনা হয়েছে। ইসি আইন পাস করার আগে রাজনীতিবিদ, সুশীল সমাজ ও জনমত নেয়াসহ যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানোর আহ্বান জানান তারা। বিরোধীরা মনে করেন সংবিধানের ৪৮(৩) ধারা ১১৮ ধারার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তারা আইনটি পাসের আগে সংবিধানের ৪৮(৩) ধারা পরিবর্তনের দাবি জানান। যদিও ভোটে বিরোধীদের সংশোধনীর অধিকাংশই নাকচ হয়ে যায়।

বিলটির আলোচনায় অংশ নেন জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ, মুজিবুল হক চুন্নু, ফখরুল ইমাম, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারি, পীর ফজলুর রহমান ও রওশন আরা মান্নান, বিএনপির হারুনুর রশীদ ও রুমিন ফারহানা, গণফোরামের মোকাব্বির খান, স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রেজাউল করিম বাবলু। মোকাব্বির খান বলেন, দেশবাসীর প্রত্যাশা ছিল সংবিধানের আলোকে এমন একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে, যেখানে দেশের ১৭ কোটি মানুষের প্রত্যাশা পূরণ হবে এবং অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হবে। সংলাপে আমরা মনে করেছিলাম রাষ্ট্রপতি এবার হয়তো ব্যতিক্রম কিছু করবেন। কিন্তু যারা সংলাপে গিয়েছিলাম তারা এই ধরনের আইন চাইনি। তড়িঘড়ি এমন আইন হলে মানুষ তার আকাক্সক্ষা ও প্রত্যাশা থেকে বঞ্চিত হবে।

ফখরুল ইমাম বলেন, সংবিধানের ৪৮(৩) ধারায় স্পষ্ট লেখা আছে রাষ্ট্রপতি মাত্র দুইজন ব্যক্তিকে নিয়োগ করতে পারেন। একজন হলেন প্রধানমন্ত্রী আর একজন হচ্ছেন প্রধান বিচারপতি। তাহলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করবেন কে? সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদে বলা আছে আইন তৈরি করবেন। কিন্তু ওখানে বলেননি সংবিধানের ৪৮(৩) ধারা অতিক্রম করে আইন তৈরি করবেন। দুটি সাংঘর্ষিক।

মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, আমরা চেয়েছিলাম বিলটি গণতান্ত্রিকভাবে আসুক। বর্তমান নির্বাচন কমিশন শতভাগ আমলানির্ভর। এখন যে ব্যবস্থা করা হয়েছে তাতেও রাখা হয়েছে বিচারপতি। দেশে কি বিচারপতি আর আমলা ছাড়া বিশ্বাস করার মতো মানুষ নেই? রাজনৈতিক ব্যক্তিদের কি বিশ্বাস করেন না? স্পিকারকে বিশ্বাস করেন না? সংসদ সদস্যদের কি বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়? কেন আমরা সার্চ কমিটিতে থাকতে পারব না? আপনাদের তো ক্যান্টনমেন্টে জন্ম হয়নি। দেশ স্বাধীন করার জন্য নেতৃত্ব দিয়েছেন। আপনারা কেন বিচারপতি আর আমলাদের ওপর নির্ভর করবেন?

হারুনুর রশীদ বলেন, আইনের ব্যাপারে জনগণের ধারণা একেবারে সুস্পষ্ট, সরকার আইন প্রণয়নের নামে জনগণের সঙ্গে প্রহসন করছে। ২০১৭ সালে ২৫ জানুয়ারি যে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিলেন তার সঙ্গে আইনটির খুব একটা অমিল নেই। যদি আইন মানুষের কল্যাণের চাইতে অকল্যাণ বয়ে নিয়ে আসে, আইন যে প্রতিষ্ঠানের জন্য করা হচ্ছে সেই প্রতিষ্ঠানকে যদি প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়। যদি সেই আইন মানুষের কাছে অগ্রহণযোগ্য হয়। তিনি বলেন, সার্চ কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বিতর্কের জায়গায় নিয়ে যাচ্ছেন। চারটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের বিতর্কের জায়গায় নিয়ে যাচ্ছেন। এই ব্যক্তিগুলো সবাই প্রধানমন্ত্রীর নিয়োগপ্রাপ্ত। তাই প্রধানমন্ত্রীর আনুগত্য করাই তাদের দায়িত্ব এবং কর্তব্য। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিতর্কিত করবেন। জনগণ হতাশ, জনগণ এটি চায় না। জনগণের দাবি হচ্ছে নির্বাচনকালীন সরকার অবশ্যই হতে হবে। একটি তত্ত্বাবধায়ক এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে।

রুমিন ফারহানা বলেন, ১১৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আইন প্রণয়ন বাধ্যতামূলক। কিন্তু সব অংশীজনের মতামত ছাড়া তাড়াহুড়ো করে এত জনগুরুত্বপূর্ণ একটি আইন পাস করা আইওয়াশ ছাড়া কিছু নয়। এই আইন যে শুধু বিএনপি বা অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক দল প্রত্যাখ্যান করেছে তাই নয়; সুশীল সমাজ, আইনজ্ঞ, সাবেক নির্বাচন কমিশনারসহ অনেকেই এটির কঠোর সমালোচনা করেছেন। এটিকে অনুসন্ধান কমিটি গঠনের আইন বললেই অত্যুক্তি হয় না। এই কমিটিতে সরকারি দল, সংসদের প্রধান বিরোধী দল, তৃতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ দল থেকে একজন করে প্রতিনিধি যদি থাকত তাহলে স্বচ্ছতা থাকত। এখনকার মতো সেটিও কোনো স্বাধীন কমিশন হবে না, হবে সরকারের নির্বাচন বিষয়ক মন্ত্রণালয়। নিয়োগটি দিনশেষে হবে প্রধানমন্ত্রীর পছন্দে। বিলে সার্চ কমিটি গঠন থেকে কমিশন গঠন পর্যন্ত পুরোটাই অস্পষ্ট।

রেজাউল করিম বাবলু বলেন, মানুষের জন্য আইন হয়, আইনের জন্য মানুষ নয়। এই আইনটা বাস্তবায়ন করার আগে অবশ্যই সংবিধান সংশোধন করা অতিব জরুরি ছিল। সংবিধান সংশোধন না করে আইন করায় আজীবন প্রশ্নবিদ্ধ থেকে যাবে। ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন বলেন, আইনটি করে ভালো হয়েছে। আমরা একটি ভালো ইসি পাব বলে আশা করছি। তিনি সার্চ কমিটিতে দুইজন বিশিষ্ট নাগরিকের মধ্যে একজন নারী রাখার প্রস্তাব করেন। আইনমন্ত্রী সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেন। অর্থাৎ ইসি গঠনের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে নাম সুপারিশের জন্য যে সার্চ কমিটি থাকবে, সেখানে একজন নারী থাকবেন।

বিরোধী সংসদ সদস্যদের অভিযোগের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, সংসদে পাস হওয়া ইসি গঠন আইনে কাউকে ইনডেমনিটি দেয়া হয়নি। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ইনডেমনিটির পথে হাঁটে না। ইনডেমনিটি কথা শুনলেই আওয়ামী লীগের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়। বিএনপি ইনডেমনিটি দিয়ে আমাদের রক্তক্ষরণ করিয়েছে। এই আইনে লিগ্যাল কাভারেজ দেয়া হয়েছে। এই আইনের মধ্যে কেউ অন্যায় করে থাকলে তাকে প্রটেকশন দেয়া হয়নি।

আইনমন্ত্রী বলেন, আইনটি করতে তাড়াহুড়ো করা হয়নি। ২০১৭ সালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যখন রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপ হয়, তখনই এই আইনের বিষয়ে কথা হয়েছিল। তখনই প্রধানমন্ত্রী এই আইনটি করার জন্য বলেছিলেন। তিনি বলেন, এই আইন করার প্রক্রিয়া শুরুর পর যারা বাইরে কথা বলেন তাদের আন্দোলন সৃষ্টির চেষ্টার যে টুলস বা মসলা সেটা আর থাকেনি। সেজন্যই এখন তারা উঠেপড়ে লেগেছেন। আইনমন্ত্রী বলেন, এবার রাষ্ট্রপতির সংলাপে যারা গেছেন, যারা যাননি- তারা নির্বাচন কমিশন নতুন আইনের মাধ্যমে গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন। গত ১৭ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপ করে। রাষ্ট্রপতি আইনের বিষয়ে তার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন। আমরা তড়িঘড়ি করিনি।

আইনে সার্চ কমিটি গঠনের প্রস্তাবনা প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, ইসি গঠনে সার্চ কমিটি গঠনের বিষয়ে ২০১২ সালে রাজনৈতিক দলগুলো সম্মত হয়েছিল। তখন থেকেই এই সার্চ কমিটির ধারণা এসেছে। এটা কল্পনা থেকেও আসেনি, আকাশ থেকেও পড়েনি। এটা তো নতুন আবিষ্কার নয়। সার্চ কমিটির মাধ্যমে দুটি কমিশন গঠন হয়েছে। যে কারণে এটা গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। ফলে জনমত যাচাই তো ১০ বছর ধরে হয়ে গেছে। বিষয়টি হলো তালগাছটি না পেলে অনেক কমপ্লেইন থাকে।

বিলে যা আছে : বিলে বলা আছে সিইসি ও অন্য কমিশনারদের নামের তালিকার জন্য রাষ্ট্রপতি ৬ সদস্যের অনুসন্ধান কমিটি গঠন করবেন, যার সভাপতি হবেন প্রধান বিচারপতি মনোনীত আপিল বিভাগের একজন বিচারক। সদস্য হিসেবে থাকবেন প্রধান বিচারপতি মনোনীত হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারক, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান এবং রাষ্ট্রপতি মনোনীত দুইজন বিশিষ্ট নাগরিক, এখন এ দুজনের মধ্যে একজন নারী সদস্যকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আর সার্চ কমিটির কাজ ১০ কার্যদিবস করার বিধান রাখা হয়েছিল। সেটি এখন ১৫ কার্যদিবস করা হয়েছে। আর কমিটির কাজে সাচিবিক সহায়তা দেবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

এছাড়া বিলের ওপর বিভিন্ন শব্দ ও ছোটখাটো কয়েকটি সংশোধনী প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। সংসদ সদস্যদের ৬৪টি সংশোধনী প্রস্তাবের মধ্যে ২২টি আইনমন্ত্রী গ্রহণ করেন, যা সংসদের ভোটে পাস হয়। সংশোধনীগুলো গ্রহণের সময় আইনমন্ত্রী বলেন, এতগুলো সংশোধনী আগে কখনো গ্রহণ করা হয়নি। এখন রাষ্ট্রপতি এই বিলে সই করলে তা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে। প্রথমবারের মতো প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে আইন পাবে বাংলাদেশ। দেশের পরবর্তী নির্বাচন কমিশন এই আইনের অধীনেই গঠন করা হবে, যদিও বিলটি নিয়ে রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজের নানামুখী সমালোচনা রয়েছে।

এর আগে গত রবিবার বিলটি সংসদে উত্থাপন করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। পরে বিলটি পরীক্ষা করে ৭ দিনের মধ্যে সংসদে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হলেও মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ২টি সংশোধনী এনে তা চূড়ান্ত করে কমিটি। এরপর গত বুধবার দুটি পরিবর্তনের সুপারিশসহ প্রতিবেদনটি সংসদে উপস্থাপন করেন সংসদীয় কমিটির সভাপতি শহীদুজ্জামান সরকার। সংসদে উত্থাপিত বিলে সিইসি ও কমিশনারদের যোগ্যতা সংক্রান্ত ৫(গ) ধারায় বলা ছিল, সিইসি ও কমিশনার হতে গেলে, কোনো গুরুত্বপূর্ণ সরকারি, বিচার বিভাগীয়, আধা সরকারি বা বেসরকারি পদে তার অন্যূন ২০ বছর কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এই ধারায় সরকারি, বিচার বিভাগীয়, আধা সরকারি বা বেসরকারি পদের পাশাপাশি ‘স্বায়ত্তশাসিত ও পেশায়’ যুক্ত করার সুপারিশ করেছিল সংসদীয় কমিটি। তা সংসদে গৃহীত হয়েছে। আর অযোগ্যতার ক্ষেত্রে ৬ (ঘ) ধারায় বলা ছিল, নৈতিক স্খলনজনিত ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে অন্যূন দুই বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলে সিইসি ও কমিশনার হওয়া যাবে না। এখানে দুই বছরের কারাদণ্ড উঠিয়ে দিয়ে শুধু কারাদণ্ডের সুপারিশ করেছিল সংসদীয় কমিটি। অর্থাৎ নৈতিক স্খলন ফৌজদারি অপরাধে যে কোনো মেয়াদের সাজা হলেই সিইসি বা কমিশনার হওয়ার ক্ষেত্রে অযোগ্য হিসেবে বিবেচনা করা হবে। এ সংশোধনী প্রস্তাবও সংসদ গ্রহণ করেছে।

বিলে সিইসি ও নির্বাচন কমিশনার পদে কাউকে সুপারিশের ক্ষেত্রে তিনটি যোগ্যতা থাকতে হবে। তাকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। ন্যূনতম ৫০ বছর বয়স হতে হবে। কোনো গুরুত্বপূর্ণ সরকারি, বিচার বিভাগীয়, আধা সরকারি বা বেসরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত পদে বা পেশায় পদে তার অন্যূন ২০ বছর কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

সিইসি ও কমিশনার পদের জন্য ছয়টি অযোগ্যতার কথা বলা হয়েছে। আদালত অপ্রকৃতস্থ ঘোষণা করলে। দেউলিয়া হওয়ার পর দায় থেকে অব্যাহতি না পেলে। কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব নিলে কিংবা বিদেশি রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য ঘোষণা বা স্বীকার করলে। নৈতিক স্খলনজনিত ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলে। ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস (ট্রাইব্যুনালস) অ্যাক্ট-১৯৭৩ বা বাংলাদেশ কোলাবরেটরস (স্পেশাল ট্রাইব্যুনালস) অর্ডার-১৯৭২ এর অধীনে কোনো অপরাধের জন্য দণ্ডিত হলে এবং আইনের দ্বারা পদাধিকারীকে অযোগ্য ঘোষণা করছে না, এমন পদ ব্যতীত প্রজাতন্ত্রের কর্মে লাভজনক পদে অধিষ্ঠিত থাকলে।

উল্লেখ্য, কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান ইসির মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি। এর আগেই নতুন কমিশন গঠন করতে হবে রাষ্ট্রপতিকে। আইনটি সংসদে পাস হওয়ায় এখন গেজেট প্রকাশ, সার্চ কমিটি গঠন, তাদের সুপারিশ জমাসহ নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য রাষ্ট্রপতির হাতে সময় থাকছে ১৭ দিন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App