মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৯৮তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে অনলাইনে একক বক্তৃতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। বুধবার (২৬ জানুয়ারি) বিকেলে বাংলা একাডেমি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
একাডেমির সভাপতি কবি মুহম্মদ নূরুল হুদার সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে একক বক্তৃতা দেন কবি কথাসাহিত্যিক প্রাবন্ধিক ও সংগঠক খসরু পারভেজ। এ সময় অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) হাসনা জাহান খানম। স্বাগত বক্তব্য দেন একাডেমির সচিব এ. এইচ. এম. লোকমান।
একক বক্তা খসরু পারভেজ বলেন, মাইকেল মধুসূদন দত্ত বাংলা সাহিত্যকে নতুন উচ্চতা দান করেছেন। বাংলা কবিতা, নাটক ও প্রহসন তার জাদু-কলমে বিশ্বসাহিত্যের দরবারে সম্মানজনক আসনে উন্নীত হয়েছে। পশ্চিমা বিশ্বে বসবাস করেও তিনি কখনও ভুলে যাননি বাংলার শ্যামল মৃত্তিকা ও জলের আহ্বান। অমিত্রাক্ষর ছন্দ প্রবর্তন থেকে শুরু করে পুরাণের পুনর্জন্ম দান করে তিনি বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন।
হাসনা জাহান খানম বলেন, মাইকেল মধুসূদন দত্তের রচনায় নারীর সংগ্রামী রূপ ফুটে উঠেছে। অসামান্য দরদ ও শক্তিমত্তায় তিনি তার সাহিত্যকর্মে নারী-পুরুষ উভয়ের সমানাধিকারের বিষয়টি সার্থকভাবে প্রতিফলিত করেছেন।
সভাপতির বক্তব্যে কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, মাইকেল মধুসূদন দত্ত বাংলা কবিতায় নতুন স্বরের প্রবর্তক। বাংলার ইতিহাস-পুরাণ তার কবিতায় নতুন ব্যঞ্জনায় উদ্ভাসিত হয়ে বৈশ্বিক পরিপ্রেক্ষিতে বাংলা সাহিত্যের সীমানা সম্প্রসারিত করেছে।
তিনি বলেন, মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্মের দ্বিশতবর্ষ সমাগত। আমরা প্রত্যাশা করি, বাংলাদেশে তার স্মৃতিবিজড়িত স্থানসমূহ যথাযথভাবে সংরক্ষিত হবে এবং তার সাহিত্যকর্ম সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে।
স্বাগত বক্তব্যে এ. এইচ. এম. লোকমান বলেন, মাইকেল মধুসূদন দত্ত বাংলার কবি, বাঙালির কবি। নানান ঘাত-প্রতিঘাত অতিক্রম করে আমৃত্যু তিনি সাহিত্যের সেবায় জীবন উৎসর্গ করেছেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।