×

জাতীয়

বিদেশনীতি নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে বিএনপি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২২, ০৮:৪৯ এএম

উদারপন্থিদের উদ্যোগকে সমর্থন তারেক রহমানের

বিদেশনীতিতে ভারত ও চীনের সঙ্গে ভারসাম্য রক্ষার কূটনৈতিক কৌশল নিয়ে অগ্রসর হতে গিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়েছে দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপি। ‘অভ্যন্তরীণ রাজনীতি’ প্রশ্নে দুটি দেশের সঙ্গেই ভিন্ন নীতি নিয়ে চলছে দলটি। ভারতকে প্রকাশ্যে না চটিয়ে পর্দার আড়ালে চীনের সঙ্গে ভারসাম্য রক্ষা করতে গিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো বিদেশনীতি ঠিক করতে পারেনি বিএনপি। দলটির উদারপন্থি নেতারা বলছেন, ভারত ও চীনের সঙ্গে ভারসাম্যমূলক সুসম্পর্ক রক্ষা করে চলার কারণেই বর্তমান সরকার ক্ষমতায় টিকে আছে। তাই এই দুই দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক ছাড়া দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে পরিবর্তন আনা অত্যন্ত কঠিন। প্রয়োজনে জামায়াতকে এখনই দূরে রেখে বৃহৎ শক্তিগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি করা অত্যন্ত জরুরি। যদিও স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকারসহ দু একজন নেতা এর বিরোধিতা করছেন। কিন্তু দলটির মধ্যে কট্টরপন্থি নেতার সংখ্যা কমে যাওয়ায় উদারপন্থিদের মতামতই গুরুত্ব পাচ্ছে বলে জানা গেছে। এমনকি আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সম্পর্কোন্নয়নের দিক থেকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও এখন উদারপন্থিদের উদ্যোগকেই সমর্থন করছেন। জানতে চাইলে বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক কমিটির প্রধান ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ভোরের কাগজকে বলেন, বিএনপি দল পুনর্গঠনের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে যোগাযোগ বাড়াতে বেশি মনোযোগী। এক্ষেত্রে বিএনপির সঙ্গে কারো দূরত্ব তৈরি হয়েছে কিনা সেটা বড় নয়। বরং সরকারের প্রহসনের নির্বাচন এখন পর্যন্ত কেউ মেনে নেয়নি। তাদের মানবাধিকার লঙ্ঘন, বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম, দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ সবাই প্রকাশ্যেই কথা বলছে। র‌্যাব এবং এই বাহিনীর বর্তমান ও সাবেক সাত কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা সরকারের ‘কর্তৃত্ববাদী’ শাসনের বিরুদ্ধে বড় ধরনের চাপ সৃষ্টির সূচনা। বিএনপির ফরেইন অ্যাফেয়ার্স কমিটির দায়িত্বে থাকা নেতারা জানান, ভারত, চীন ও যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, মধ্যপ্রাচ্য ও শক্তিধর দেশগুলোর সঙ্গে নতুন ঘনিষ্ঠতা তৈরির চেষ্টা করছে বিএনপি। দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়টিকে সামনে রেখে দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের নতুন রোডম্যাপ সাজানো হচ্ছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশে নিযুক্ত বিদেশি দূতদের সঙ্গে বৈঠকের আগ্রহ প্রকাশ করে বিএনপির পক্ষ থেকে চিঠি দেয়া হয়েছে। দেশগুলোর চাহিদার প্রতি গুরুত্ব দিয়ে সাজানো হচ্ছে নতুন করে পররাষ্ট্রনীতি। বিএনপির ঘনিষ্ঠজনরা বলছেন, প্রতিষ্ঠাকালে চীন, মধ্যপ্রাচ্যসহ অন্যান্য শক্তির সঙ্গে বিশেষ মৈত্রীর সুবিধা ভোগ করত বিএনপি। সে পরিস্থিতি এখন আর নেই; বরং ক্ষমতায় থাকতে নানা ঘটনায় বন্ধুসুলভ শক্তিগুলোর কারো কারো সঙ্গে যে দূরত্বের সৃষ্টি হয়েছে, যা এখনও পরিবর্তন হয়নি। তাদের সঙ্গে আস্থার সম্পর্ক স্থাপনে কোনো উদ্যোগও দৃশ্যমান নয়। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে টুইন টাওয়ারে সন্ত্রাসী হামলার পর জঙ্গিবাদ দমনে আন্তর্জাতিকভাবে যে রাজনৈতিক মেরুকরণ হয়, বিএনপি তার সঙ্গে চলতে পারেনি। কারণ জামায়াতকে সঙ্গে রেখে ২০০১ সালে খালেদা জিয়ার চার দলীয় জোট সরকার যখন ক্ষমতায় বসে, তখন জঙ্গিবাদ বা সন্ত্রাসবাদবিরোধী আন্তর্জাতিক জোট হয়। ওই সময় বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের বিস্তার ঘটে, অনেক নৃশংস হামলা হয়। বিএনপির বিরুদ্ধে জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগ ওঠে তখন। পাশাপাশি জামায়াতকে নিয়ে বিতর্ক থাকায় এর নেতিবাচক প্রভাবও পড়ে বিএনপির ওপর। আর এই সুযোগটি লুফে নেয় আওয়ামী লীগ। গত জাতীয় নির্বাচনের পর বিএনপির দিক থেকে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের দিকটা এখনও স্পষ্ট নয়। গত ২৬ মার্চ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের বিষয়টি পছন্দ না হলেও এ বিষয়ে দলটি ছিল নিশ্চুপ। দলীয়ভাবে বিএনপির অবস্থান ছিল অস্পষ্ট। তবে এ প্রসঙ্গে বিএনপির এক সিনিয়র নেতার বক্তব্য, দলকে বাস্তবতা মেনে অবস্থান ঠিক করতে হবে। কারণ, প্রতিষ্ঠালগ্নে স্নায়ুযুদ্ধের সময় রুশ-ভারতের আন্তর্জাতিক মেরুকরণের বাইরের আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক শক্তিকে পাশে পেয়েছিল বিএনপি। এখন তা নেই। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের বিপক্ষে অস্ত্র ধরতে ভারতে অবস্থান করেছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। সম্প্রতি এক দলীয় কর্মসূচিতে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত এক কোটির বেশি শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছিল। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের পক্ষে জনমত তৈরিতেও দেশটি কাজ করেছে। এমনকি শেষ দুই সপ্তাহে ভারতীয় সেনাবাহিনী সরাসরি যুদ্ধে সম্পৃক্ত হয়েছে। সে সময় গঠিত হয় বাংলাদেশ-ভারত যৌথ বাহিনী। এই বাহিনীর কাছেই পাকিস্তানি সেনাবাহিনী আত্মসমর্পণ করে। তাই ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব চাই। ভারত আমাদের শত্রু নয়। চীন কি বিএনপিকে পাশ কাটাচ্ছে : বিএনপিতে চীনের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা জানান, পররাষ্ট্র নীতিতে চীন বিএনপিকে নতুন কিছু শর্ত জুড়ে দিয়েছে। দলের কূটনৈতিক উইংয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কয়েক নেতাকে নিয়ে আপত্তি রয়েছে দেশটির। কারণ বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ঢাকায় তাইওয়ানের দূতাবাস স্থাপনের অনুমতি দেয়া হয়। ফলে ‘এক চীন’ নীতিতে বিশ্বাসী বেইজিংয়ের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্কের অবনতি ঘটে। সে সময় যারা তাইওয়ানের দূতাবাস স্থাপনে ভূমিকা রেখেছিলেন তারা এখনও বৈদেশিক কমিটিতে অবস্থান করছেন। বিএনপির বিদেশবিষয়ক কমিটির একাধিক সদস্য মনে করেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান সরকারের আমলে রাষ্ট্র হিসেবে চীনের সঙ্গে সম্পর্কের যাত্রা শুরু হলেও খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন চার দলীয় জোট সরকারের সময়ে এর ব্যাপক অবনতি ঘটে। ঢাকায় তাইওয়ানের তাইপেই অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অফিস খোলাকে কেন্দ্র করে দেশটির সঙ্গে সম্পর্কের বিপর্যয় ঘটে। এই বিপর্যয় কাটিয়ে উঠে ২০১৮ সাল থেকেই চীনের প্রতি মনোযোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপির হাইকমান্ড। দলটি কৌশলী অবস্থানে থেকে ভারতের বিরাগভাজন না হয়ে চীনের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক বজায় রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে ‘টিম লিডার’ করে দলের ফরেইন অ্যাফেয়ার্স কমিটি পুনর্গঠন করার নির্দেশ দেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ঠিক তখনই দলের অভ্যন্তরে প্রশ্ন উঠে- চীনের সঙ্গে যখন দলের সম্পর্ক উন্নতির দিকে তখন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে টিম লিডার করে দেশটিকে আবার তাইওয়ান প্রসঙ্গটি মনে করিয়ে দেয়া হলো কিনা? বিএনপিতে প্রচার আছে, আমীর খসরু মাহমুদই বাংলাদেশে তাইওয়ানের কনসুল অফিস খোলার জন্য দায়ী। আর এ জন্যই তাকে বাণিজ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করতে হয়েছিল। নতুন করে আমীর খসরুকে প্রধান করায় চীনের কানে বিষয়টি তুলে দিতে পারে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কেউ। এরপর থেকেই বিএনপিকে পাশ কাটাতে চায় চীন। গত ১২ ডিসেম্বর বাংলাদেশের গণতন্ত্রের প্রশংসা করেন ঢাকায় চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, বিস্তীর্ণ সমাজতান্ত্রিক আধুনিকীকরণের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়ার পথে চীন জনগণের গণতন্ত্র বিকাশে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। বাংলাদেশের গল্পটিও এক, দেশটি আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং গণতন্ত্রের ক্ষেত্রে ব্যাপক অগ্রগতি অর্জন করেছে। চীনা রাষ্ট্রদূতের এমন বক্তব্যে ক্ষোভ জানায় বিএনপি। দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চীনা রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যে বিএনপি ক্ষুব্ধ, মর্মাহত। পাশাপাশি অবাধ নির্বাচন, মানবাধিকার, গণতন্ত্রের স্বার্থে চীনকে বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি। ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের নতুন সমীকরণ চায় বিএনপি: প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে জোরালো সম্পর্ক গড়ে তুলতে চায় বিএনপি। এ জন্য বিএনপির নেতৃত্বের একটি অংশ বিগত কয়েক মাস ধরে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্তত একটি দেশে ভারতীয় গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে আসছেন। বিভিন্ন কর্মকর্তা ও থিংকট্যাংকের সঙ্গে বৈঠক করে অতীতের ভারতবিরোধী মনোভাব থেকে বের হয়ে যাওয়ার বিষয়টি বোঝানোর চেষ্টা করেছে। আর ভারতের সঙ্গে লেনদেনের সম্পর্ক তৈরির ক্ষেত্রে বিএনপিকে ভারতীয় কর্মকর্তারা দলটির সঙ্গে তীব্র ভারতবিরোধী দল জামায়াতে ইসলামীর সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তুললে তাও ছিন্ন করার ইঙ্গিত দিয়েছে দলটি। এমন কি লন্ডনে তারেক রহমানের সঙ্গে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বৈঠক নিয়েও বিএনপির মধ্যে আলোচনা চলছে। ফলে গত এক বছর বিএনপির নেতারা কেউই প্রকাশ্যে সভা-সমাবেশে ভারতের সমালোচনা করছেন না। তারা কেবল আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করছেন ভারতের কাছ থেকে বাংলাদেশের ন্যায্য দাবি আদায়ে ব্যর্থতার জন্য। সূত্র জানায়, ভারতের সঙ্গে আস্থা অর্জনে বিএনপির পক্ষ থেকে কিছু বিষয়ে গোপন সমঝোতাও হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- বিএনপি জামায়াতসহ ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করবে, চীন নীতি পরিবর্তন ও পুনঃমূল্যায়ন, সংখ্যালঘুদের স্বার্থ এবং তাদের অধিকারের ব্যাপারে বিএনপির অবস্থান আরও স্পষ্ট এবং পরিষ্কার করবে। জানতে চাইলে বিএনপির ফরেইন অ্যাফেয়ার্স কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ বলেন, জামায়াতের সঙ্গে জোট থাকা না থাকার বিষয়ে দলের হাইকমান্ড সিদ্ধান্ত নেবে। তবে বৈশ্বিক রাজনীতির পাশাপাশি তালেবানের উত্থানের পর দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার নতুন রাজনীতির সঙ্গে অবশ্যই আমাদের সমন্বয় করতে হবে। তিনি বলেন, নব্বইয়ের দশকের সঙ্গে ২০২২-এর তুলনা করলে ভুল হবে। তাছাড়া এ দেশের একজন নাগরিক হিসেবে মনে করি, ভারতেরও রিয়েলাইজেশন হয়েছে। একটি নির্দিষ্ট দলের সঙ্গে নয়, পিপল টু পিপল এবং কান্ট্রি টু কান্ট্রি রিলেশনশিপ ডেভেলপ করতে হবে। তাহলেই পারস্পরিক সমস্যাগুলো সমাধানে সুবিধা হবে। যে কারণে বিএনপির পাশে নেই অন্য দেশগুলো: গত ১০ বছর বিরোধীদলীয় রাজনীতিতে থেকে বিএনপি এমন কোনো কর্মসূচি সামনে আনতে পারেনি যাতে তারা প্রতিবেশীসহ বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে। রাশিয়া এবং সৌদি আরবের সঙ্গে অনেক বেশি গভীর সম্পর্ক বর্তমান সরকারের। ফলে বিএনপি সেখানে ভিড়তে পারেনি। প্রতিবেশী দেশ ভারতের শঙ্কা, বিএনপি ক্ষমতায় এলে আবার জামায়াতে ইসলামী ও তাদের জঙ্গি সংগঠনগুলো অবাধে কাজ করবে বাংলাদেশে। তখন দেখা যাবে, বাংলাদেশে জঙ্গি ঘাঁটি তৈরি করে সেখানে ট্রেনিং নিয়ে জঙ্গিরা ভারতের পার্লামেন্ট ভবনে হামলা করবে। সর্বশেষ, গত একাদশ সংসদ নির্বাচনে স্কাইপে, হোয়াটস অ্যাপ বা ভাইবার অ্যাপসের মাধ্যমে তারেক রহমানের বিএনপি নেতাদের নির্বাচনে মনোনয়নের সাক্ষাৎকার নেয়ায় ভারত ও আমেরিকার কাছে খারাপ সিগন্যাল গেছে। ড. কামালরা কিছুই নন, তারা তারেকের অনুগত মাত্র। তাদের নমিনেশন পাওয়াও নির্ভর করছে তারেকের ওপর। তারেক রহমানই পছন্দ করছে, কে তার দল ও জোট থেকে আগামীতে পার্লামেন্টে প্রতিনিধিত্ব করবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App