×

সারাদেশ

শ্রীবরদীতে বীর মুক্তিযোদ্ধা ফিলিসনের পরিবারের দিন কাটে অনাহারে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৪ জানুয়ারি ২০২২, ০৬:১০ পিএম

শ্রীবরদীতে বীর মুক্তিযোদ্ধা ফিলিসনের পরিবারের দিন কাটে অনাহারে

দ্বিতীয় ছেলে নিকেন্দ্র ম্রং (ডানে) ও তৃতীয় ছেলে হৃদয় ম্রংয়ের সঙ্গে ফিলিসন দালবদের স্ত্রী সালিমা ম্রং (মাঝে)। ছবি: ভোরের কাগজ

আদিবাসী মুক্তিযোদ্ধা ফিলিসন দালবদের পরিবারের সদস্যদের দিনকাটে অনাহারে অর্ধাহারে। ফিলিসন দালবদ শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার রানিশিমুল ইউনিয়নের বালিজুরি খ্রিস্টান পাড়া গ্রামের গবীর ম্রং এর ছেলে। পৈতৃক ভিটা বাড়ি ছিল শেরপুর শহরের কসবা মহল্লায়।

জানা গেছে, ১৯৭১ সালে ফিলিসন দালবদ ও তার ছোট ভাই সম্রাট দালবদ ভারতে অবস্থান নিয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। ভারতে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে ১১ নং সেক্টরে ওই যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে হানাদার বাহিনীর গুলিতে শহিদ হন সম্রাট দালবদ। দেশ স্বাধীনের পর ফিলিসন দালবদ দেশে ফিরে এসে বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করে অবশেষে শ্রীবরদী উপজেলার বালিজুরি খ্রিস্টানপাড়ায় সামিলা ম্রংকে বিয়ে করে ওই বাড়িতেই অবস্থান করেন। যে বাড়িতে ফিলিসন দালবদ বসবাস করতেন, সে বাড়ির জমিটুকুও ছিল বনবিভাগের। দিনমজুরি করে চলতো তার সংসার। যে ঘরে বসবাস করতেন সে ঘরটি ছিল বসবাসের অনুপযোগী। অসচেতনতা ও আর্থিক দৈন্যতার কারণে মুক্তিযোদ্ধা  ভাতাটিও জোটেনি ফিলিসন দালবদের ভাগ্যে।

অভাব, অনটন দুঃখ আর দুর্দশার মধ্য দিয়ে ফিলিসন দালবদ তিন সন্তানের জনক হন। ২ ছেলে ১ মেয়ের মধ্যে মেয়ে সুরমা ম্রং এর বিয়ে দিয়েছেন। দ্বিতীয় ছেলে নিকেন্দ্র ম্রং ও তৃতীয় ছেলে হৃদয় ম্রং পড়াশোনা করে। ফিলিসন দালবদের স্ত্রী সালিমা ম্রং জানান ২০১৯ সালে পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি স্বামীর মৃত্যু হয়। ফলে পরিবারটি একেবারেই অর্থসংকটে পরে। বর্তমানে ২ ছেলেকে নিয়ে অতিকষ্টে অনাহারে অর্ধাহারে মানবেতর জীবনযাপন করছে সালিমা ম্রং।

সরেজমিনে দেখা গেছে সালিমা ম্রং এর  থাকার ঘরটি বসবাসের অনুপযোগী। সালিমা ম্রং জানান, তার স্বামী মুক্তিযোদ্ধা হলেও মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পর্যন্ত পায়নি। তবে তিনি বলেন ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার কল্যাণ তহবিল থেকে তার স্বামী ফিলিসন দালবদের নামে এক লাখ টাকার একটি চেক পাঠান। শেরপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে চেকটি তার স্বামীকে দেয়া হয়। সালিমা ম্রং বলেন তদবিরের অভাবে তার স্বামী ফিলিসন দালবদের নামে মুক্তিযোদ্ধা ভাতাটি আজও হচ্ছে না। এ ব্যাপারে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App