মিজান-বাছিরের সর্বোচ্চ শাস্তি চায় রাষ্ট্রপক্ষ
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৪ জানুয়ারি ২০২২, ০৩:৪৯ পিএম
ঘুষ কেলেঙ্কারির অভিযোগের পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমান ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজল।
সোমবার (২৪ জানুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলমের আদালতে মামলাটির যুক্তি উপস্থাপনে এ দাবি করেন দুদকের আইনজীবী কাজল।
মোশারফ হোসেন কাজল বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে আমরা সব সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। এছাড়া আসামিরা নিজেদের দোষ স্বীকার করেছেন। তাই আসামিদের যেন সর্বোচ্চ শাস্তি হয় তার জন্য আমরা যুক্তি উপস্থাপন করেছি। রাষ্ট্রপক্ষের শুনানি শেষে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা যুক্তি উপস্থাপনের সময় চেয়ে আবেদন করেন। এজন্য বিচারক আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপনের জন্য আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি ধার্য করেন।
এর আগে গত ৩ জানুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলমের আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থন শেষে মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য আজকের দিনটি ধার্য করা হয়। তবে আত্মপক্ষ সমর্থনে আসামিরা নির্দোষ দাবি করেন।
২০১৯ সালের ২৪ জুন সম্পদের তথ্য গোপন ও অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মিজানুরের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে দুদক। সেটির অনুসন্ধান কর্মকর্তা ছিলেন দুদকের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির। এ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থেকে রেহাই দিতে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নেন বাছির।
এ অভিযোগে ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই মিজান ও বাছিরের বিরুদ্ধে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলাটি করেন দুদকের পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্লাহ। ঘুষ কেলেঙ্কারির অভিযোগ ওঠার পর তাদের দুইজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
এ মামলায় পরের বছর ২০২০ সালের ১৯ জানুয়ারি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েসের আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার বাদী ও তদন্ত কর্মকর্তা ফানাফিল্লাহ। এরপর ৯ ফেব্রুয়ারি আসামিদের উপস্থিতিতে এ চার্জশিট গ্রহণ করা হয়। ৪ মার্চ দুদকের পক্ষে অভিযোগ গঠন শুনানি শেষ হয়। পরে ১৮ মার্চ ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচারকাজ শুরু করেন। এ মামলায় ১৭ সাক্ষীর মধ্যে ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।