×

সারাদেশ

চট্টগ্রাম ওয়াসার এমডি মাসে ৪ লাখ টাকা মূল বেতন চান

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৪ জানুয়ারি ২০২২, ১১:৩৯ পিএম

চট্টগ্রাম ওয়াসার এমডি মাসে ৪ লাখ টাকা মূল বেতন চান

প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল্লাহ

চট্রগাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল্লাহ মাসে ৪ লাখ টাকা মূল বেতন চেয়েছেন। সোমবার (২৪ জানুয়ারি) বেতন বাড়ানোর আবেদন বোর্ড সভায় উপস্থাপন করেন তিনি।

কিন্তু সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের পর আবেদন আটকে যায়। সভায় এমডির প্রস্তাব যাচাই-বাছাই করে দেখার জন্য চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

জানা যায়, এমডির মূল বেতন বাড়িয়ে সাড়ে ৪ লাখ টাকা হলে অন্যান্য ভাতাসহ মাসে বেতন দাঁড়াবে ৯ লাখ টাকা।

কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. ইব্রাহিমকে।

সদস্যরা হলেন- অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাসান খালেদ ফয়সাল, বোর্ড সদস্য শওকত হোসেন ও ওয়াসার উপ-মহাব্যবস্থাপক (অর্থ) শামসুল আলম।

নীতিমালা অনুসারে বেতন-ভাতা বাড়ানোসহ যে কোনো আবেদন ওয়াসার বোর্ড সভায় পাস হলে সেটা অনুমোদনের জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।

গত ২০১৬ সালের ৭ মে অনুষ্ঠিত ৩৫তম বোর্ড সভার সিদ্ধান্ত অনুসারে চট্টগ্রাম ওয়াসার এমডি এ কে এম ফজলুল্লাহ মাসে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা মূল বেতন পান। সর্বশেষ আবেদনে তিনি মূল বেতন বাড়িয়ে সাড়ে ৪ লাখ টাকা করার দাবি করেন।

জানতে চাইলে বোর্ড সদস্য জাফর আহমদ সাদেক বলেন, এমডি বেতন বাড়িয়ে সাড়ে ৪ লাখ করার আবেদন করেছেন। সেটি সভায় এজেন্ডা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। সভায় এজেন্ডা পাস হয়নি। আবেদন যাচাই-বাছাই করে দেখতে চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি রিপোর্ট দিলে পরবর্তী সময়ে বোর্ড সভায় আলোচনা হবে।

চট্টগ্রাম ওয়াসার এমডির নিয়োগ চুক্তিভিত্তিক। ২০০৯ সালের ৬ জুলাই থেকে তিনি ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদে নিয়োজিত আছেন। একাধিক বার চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। জা

নতে চাইলে ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল্লাহ বলেন, ঢাকা ওয়াসার এমডির বেতন আমার চেয়ে বেশি। চট্টগ্রাম ওয়াসা একটি বৃহৎ প্রতিষ্ঠান। এখন আমি বেতন বাড়ানোর জন্য বোর্ড সভায় আবেদন করেছি। একটি কমিটি করা হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওয়াসার অপর এক সদস্য বলেন, রাজস্ব বিভাগের কার্যক্রম নিয়ে নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। ৩০ শতাংশ সিস্টেম লস দেখানো হচ্ছে। অনেক সংযোগের গড় বিল করা হচ্ছে। এসব সংযোগের মিটার নেই অথবা নষ্ট। বিলিংয়ের একটি বিশাল অংশ অনাদায়ী থেকে যাচ্ছে। ফলে এসব বিষয়গুলো নিয়ে প্রতি বোর্ড সভায় আলোচনা হলেও কোনো অগ্রগতি হচ্ছে না। এতে ওয়াসা প্রচুর রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App