আজাদ-সাহেদদের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ ২২ ফেব্রুয়ারি
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৩ জানুয়ারি ২০২২, ০৬:২৩ পিএম
আজাদ ও সাহেদ। ফাইল ছবি
ক্ষমতার অপব্যবহার করে লাইসেন্স নবায়নবিহীন রিজেন্ট হাসপাতালকে ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতাল করার অভিযোগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ করিমসহ ছয়জনকে বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ শুনানির জন্য ২২ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।
রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে মামলাটির চার্জশিট গ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। এজন্য আসামি আবুল কালাম আজাদসহ জামিনে থাকা ৫ আসামি আদালতে হাজিরা দেন। তবে সাহেদ করিমকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা না হওয়ায় তার উপস্থিতিতে চার্জশিট গ্রহণের জন্য নতুন দিন ধার্য করেন আদালত।
এর আগে গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর আদালতে ৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী। আজাদ-শাহেদ বাদে বাকি ৪ আসামি হলেন- স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. আমিনুল হাসান, উপ-পরিচালক (হাসপাতাল-১) ডা. মো. ইউনুস আলী, সহকারী পরিচালক (হাসপাতাল-১) ডা. মো. শফিউর রহমান এবং গবেষণা কর্মকর্তা ডা. মো. দিদারুল ইসলাম।
চার্জশিটে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে লাইসেন্স নবায়নবিহীন রিজেন্ট হাসপাতালকে ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতালে রূপান্তরের লক্ষ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন। এছাড়া সরকারি প্রতিষ্ঠান নিপসমের ল্যাবে ৩ হাজার ৯৩৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে অবৈধভাবে পারিতোষিক বাবদ রোগী প্রতি ৩ হাজার ৫০০ টাকা করে মোট ১ কোটি ৩৭ লাখ ৮৬ হাজার ৫০০ টাকা নেন।
এছাড়া চার্জশিটে রিজেন্ট হাসপাতালের মিরপুর ও উত্তরা শাখার চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ডবয় ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের খাবার খরচ হিসেবে ১ কোটি ৯৬ লাখ ২০ হাজার টাকার মাসিক চাহিদা তুলে ধরে সমঝোতা স্মারকের খসড়া স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়ার অভিযোগ আনা হয়। এ অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫ (২) ধারায় অভিযোগ করা হয়েছে।