×

জাতীয়

সরকারি নিয়োগের প্রশ্নফাঁস চক্রের ১০ জন গ্রেপ্তার

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২২, ০৩:১৮ পিএম

সরকারি নিয়োগের প্রশ্নফাঁস চক্রের ১০ জন গ্রেপ্তার

শনিবার (২২ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক প্রেস ব্রিফিং করেন ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার। ছবি : সংগৃহীত

সরকারি নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস ও প্রশ্নের উত্তর সরবরাহকারী চক্রের ১০ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের গোয়েন্দারা।

শুক্রবার রাজধানীর মিরপুর, তেজগাঁও ও কাকরাইল থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ বিষয়ে শনিবার (২২ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিস্তারিত জানান, ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- নোমান সিদ্দিকী, মাহমুদুল হাসান আজাদ, মাহবুবা নাসরীন রুপা, আল আমিন রনি, নাহিদ হাসান, শহীদ উল্লাহ, তানজির আহমেদ, রাজু আহমেদ, হাসিবুল হাসান ও রাকিবুল হাসান।

গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ৬টি ইয়ার ডিভাইস , ৬টি মাস্টার কার্ড মোবাইল সিম হোন্ডার, ৫টি ব্যাংকের চেক, ৭টি নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প, ১০টি স্মার্টফোন, ৬টি বাটন মোবাইল, ১৮টি প্রবেশপত্র এবং চলমান পরীক্ষার ফাঁস হওয়া ৩ সেট প্রশ্নপত্র জব্দ করা হয়। এরমধ্যে, মাহমুদুল হাসান আজাদ সিজিএ অফিসের সরকারী কর্মকর্তা ও মাহবুবা নাসরীন রুপা বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান।

ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, প্রতিরক্ষা মহাহিসাব নিরীক্ষকের কার্যালয়ের অধীন ডিফেন্স ফাইন্যান্স ডিপার্টমেন্টের ৫৫০টি অডিটর পদে নিয়োগের জন্য গতকাল ৭০ নাম্বারের এমসিকিউ পরীক্ষা ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন অঞ্চলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হয়। ডিএমপির গোয়েন্দাদের কাছে তথ্য ছিল এরআগে, বিভিন্ন সময় গ্রেপ্তার হওয়া কতিপয় ব্যক্তি ইলেকট্রনিক ডিভাইস, মোবাইল অ্যাপ এবং ব্যক্তি পরিবর্তন করে পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস, উত্তর বা সমাধান সরবরাহসহ অসদুপায় অবলম্বন করতে পারে।

ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে মাহমুদুল হাসান আজাদ, নাহিদ হাসান, আল আমিন সিদ্দিকী ইতোমধ্যে প্রশ্নপত্র ফাঁস সংক্রান্ত বিষয়ে ২০১৩, ২০১৬ ও ২০১৯ সালে গ্রেপ্তার হয়েছিল। গ্রেপ্তারকৃতরা অন্যদের যোগসাজশে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অ্যাপ ও ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে পরীক্ষার হল থেকে প্রশ্ন ফাঁস করে। হলের বাহিরে ওয়ানস্টপ সমাধান কেন্দ্র বসিয়ে স্মার্ট ওয়াচ, ইয়ার ডিভাইস, মোবাইল এসএমএসের মাধ্যমে উত্তর সরবরাহের কাজ করে। ইতোমধ্যে গ্রেপ্তারকৃতরা বিভিন্ন ব্যাংক, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন অধিদপ্তর, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর, কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ, সিটি করপোরেশন, বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন, হিসাব নিরীক্ষক কার্যালয়, জ্বালানি অধিদপ্তর, সমবায় অধিদপ্তর, খাদ্য অধিদপ্তর, সাধারণ বীমা করপোরেশনসহ অন্যান্য সংস্থার প্রশ্নপত্র ফাঁস এবং উত্তরপত্র সরবরাহ করে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে।

গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App