বাঘায় বাইশ কেজি গাঁজাসহ গ্রেপ্তার ৫
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২২, ১০:০৮ পিএম
প্রতীকী ছবি
বাঘায় পৃথক পৃথক অভিযানে বাইশ কেজি শুকনা গাঁজাসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অন্যদিকে নিরাপরাধ ব্যক্তিদের মুক্তির দাবি করেছে স্থানীয়রা।
শনিবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার চকরাজাপুর ইউনিয়নের দাদপুর বাজারের দক্ষিনে কালিদাশখালি গ্রাম থেকে ২ কেজি গাঁজাসহ একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বাঘা থানার উপরিদর্শক (এসআই) রবিউল ইসলাম জানান, কালিদাশখালি গ্রামের জামাল উদ্দিন শিকদারের (৫০) বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুই কেজি শুকনা গাঁজাসহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। জামাল উদ্দিন কালিদাশখালি গ্রামের আলী শিকদারের ছেলে।
এর আগের দিন শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টায় একই ইউনিয়নের পলাশী ফতেপুর গ্রামের গাঁজা সম্রাট নামে পরিচিত আব্দুস সালামের (৪৫) বাড়িতে যায় পুলিশের সোর্স। সেখানে গাঁজা ক্রয়-বিক্রয়ের টাকা আদান প্রদানের এক পর্যায়ে সালামের বাড়ির পাশে থাকা পুলিশকে খবর দিলে ধস্তা-ধস্তি করে আব্দুস সালাম তার স্ত্রীসহ পালিয়ে যায়। হৈ-চৈ এর মুহূর্তে সেখানে জড়ো হয় আরো কয়েকজন পুলিশসহ স্থানীয়রা।
বাঘা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মেহেদী হাসান জানান, সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে আব্দুস সালামের ঘর থেকে একটি বস্তায় ২০ কেজি গাঁজা উদ্ধারসহ পলাশীফতেপুর গ্রামের করিম মন্ডলের ছেলে জিয়ারুল ইসলাম (৩৭) ও পিয়ারুল ইসলাম (৩৬), ফেলু মোল্লার ছেলে বজলুর রহমান (৩৮) এবং ওমর মন্ডলের ছেলে ওয়াশিম (৩৬) কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন জানান, শনিবার তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জড়িত নয়, এমন ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানিয়ে ফেস্টুন-ব্যানার নিয়ে পলাশিফতেপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকায় মানববন্ধন করেছে স্থানীয়রা।
চকরাজাপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নব নির্বাচিত মেম্বর মোস্তাফিজুর রহমান শিশির জানান, গাঁজা বিক্রির মূল হোতা আব্দুস সালাম ও তার স্ত্রী পালিয়ে যাওয়ার আগে, তাদের হাঁক ডাকে সেখানে যায় স্থানীয়রা। পরে সেখান থেকে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, প্রতিবাদের মাধ্যমে মাদক বেচা-কেনার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি ও নিরাপরাধ ব্যক্তিদের মুক্তির দাবি জানানো হয়েছে।
ওই ইউনিয়নের আ. লীগের সাধারন সম্পাদক সেখ আব্দুস সালাম জানান, আমিসহ সেখানে লোকজন জড়ো হয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছি। তবে পুলিশ গিয়ে নিষেধ করায় তারা চলে যায়।