বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) শনিবার দিনের প্রথম ম্যাচে সিলেটের বিপক্ষে জয় দিয়ে শুরু করেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ইমরুলের নেতৃত্বে দলটি ২ উইকেট ম্যাচ জিতেছে।
এই ম্যাচে স্কোরবোর্ডে বড় সংগ্রহ তুলতে সক্ষম হয়নি সিলেটের ব্যাটসম্যানরা। ফলে ১৯.১ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ৯৬ রান করে। জবাবে ৮ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে মাঠ ছাড়ে কুমিল্লা।
এত মামুলি রানের লক্ষে ব্যাট হাতে কুমিল্লাও শুরুটা ভালো করতে পারেনি। দলীয় ৫৫রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে তারা। ক্যামেরন ডেলপোর্ট ১৬, ফাফ ডু প্লেসিস ২, মুমিনুল হক ১৫, ইমরুল কায়েস ১০, নাহিদুল ইসলাম ১৬ রান করে আউট হন।
এরপর ছয় নম্বরে নেমে উইকেট কামড়ে লড়াই করতে পারেনি আরিফুল হক। তিনি ৪ রানে সাজঘরে ফিরেন। এরপর করিম জানাত দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন। কিন্তু দ্রুত রান তুলতে গিয়ে ব্যক্তিগত ১৮ রানে আউট হন তিনি। তবে ৮ উইকেট হারালেও জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় কুমিল্লা।
এদিকে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি মোসাদ্দেকের সিলেট সানরাইজার্স। ১৩.৫ ওভারে ৬৭ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে সিলেট। কুমিল্লার বোলার নাহিদুল ইসলাম-মোস্তাফিজুর রহমানের বোলিং তোপে সামনে কোমর সোজা করে দাঁড়াতে পারেনি মোসাদ্দেক বাহিনী। দলটির দেশি-বিদেশি তারকা ব্যাটসম্যানরা কেউই সুবিধা করতে পারেনি।
হোম অব ক্রিকেট মিরপুরে টস জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন কুমিল্লার দলপতি ইমরুল কায়েস। অধিনায়কের সিদ্ধান্ত যে, ঠিক ছিল তা বল হাতে প্রমাণ করেছেন মোস্তাফিজ- নাহিদুলরা। তাদের দুর্দান্ত বোলিং এর সামনে স্কোরবোর্ডে রান তুলতে নাভিশ্বাস উঠে গিয়েছিল সিলেটের ব্যাটসম্যানদের। এই দলের মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ৫, মোহাম্মদ মিঠুন ৫, এনামুল হক বিজয় ৩, সোহাগ গাজী ১২, অলক কাপালি ৬, মুক্তার আলী ০, তাসকিন আহমেদ ২, কেসরিক উইলিয়ামাস ৯ ও রবি বোপারা ১৭ রান করেন। সিলেটের কলিন ইনগ্রাম ২০ রান করেন।
বল হাতে কুমিল্লার হয়ে মোস্তাফিজ, নাহিদুল ও শহিদুল দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। একটি করে উইকেট শিকার করেন তানভির ও করিম জানাত।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।