×

মুক্তচিন্তা

ওমিক্রনের ধাক্কা কতটা সামলাতে পারবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়?

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২০ জানুয়ারি ২০২২, ০১:০৪ এএম

ওমিক্রনের ধাক্কা কতটা সামলাতে পারবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়?

করোনার কারণে এক বছরের বেশি সময় বন্ধ ছিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। প্রাথমিক থেকে শুরু করে মাধ্যমিক পর্যন্ত সবাইকে পাস করিয়ে দেয়া হয়েছে। অনলাইনে ক্লাস এবং অ্যাসাইনমেন্ট দিয়ে মোটামুটি ২০২০ শেষ হয়েছিল। ২০২১ সালও তেমন ছিল। তবে ২০২০ সালের চেয়ে অনেকটা ভালো। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা চলছে বর্তমানে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে কিন্তু দেশের সব প্রান্তের শিক্ষার্থী রয়েছে। দেশের সব জেলায় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই পরীক্ষার আয়োজন করা উচিত বলে আমি মনে করি। শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার কথা। সব শিক্ষার্থীর ওপর করোনার টিকা প্রয়োগ নিশ্চিত করার জন্য তিনি পদক্ষেপ নিয়েছেন। কিন্তু কথা হচ্ছে আমরা যে ধরনের কথা বলছি সেটা কি এসব টিকা দিয়ে প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে? আমরা কি নিশ্চিতভাবে বলতে পারব এই টিকার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নিরাপদ? সব মিলিয়ে সত্যি একটা গোলমাল পরিস্থিতি বিরাজ করছে আমাদের শিক্ষা খাতে। সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের কপালে আছে চিন্তার ভাঁজ। তাদের চাকরির বয়সসীমা থাকে ৩০ বছর পর্যন্ত। অথচ একজন শিক্ষার্থীর সাধারণভাবে পড়াশোনা শেষ করতে সময় লাগে ২৪-২৫ বছর। আর ৫-৬ বছরে তারা চাকরি খুঁজে নেয়। ৩০ পার হয়ে গেলে অনেকটাই অনিশ্চিত জীবনে পাড়ি দিতে হবে তাদের। সেশনজট থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অনেক মুক্ত হয়েছে, কিন্তু এখন প্রাকৃতিকভাবে এই সেশনজট আবার সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু এটা শিক্ষার্থীদের জন্য ভয়ংকর একটা বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই এসব শিক্ষার্থীর জন্য কী করা যায় সেটা ভাবতে হবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে। শুধু ভাবতে হবে নয়, এর সমাধানও দিতে হবে। এবং সেই সমাধান হতে হবে শিক্ষার্থীবান্ধব।পরিশেষে বলতে চাই, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হোক কিংবা বিধিনিষেধ মেনে খোলা রাখা হোক সবকিছুই সরকারের এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে। কিন্তু সরকারের উচিত হাজার হাজার শিক্ষার্থীর জীবন যেন থমকে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখা। শিক্ষার্থীদের জীবন যেন বিষাদে ভরে না যায় সেদিকটা লক্ষ্য রাখতে হবে সরকারকে। সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের প্রধান এবং অন্যতম দাবি হচ্ছে চাকরির বয়সসীমা যেন বাড়িয়ে দেয়া হয়। তাহলে অন্ততপক্ষে বয়সের কারণে চাকরি না পাওয়ার ভয় থেকে মুক্ত থাকত শিক্ষার্থীরা।

আজহার মাহমুদ : খুলশী-১, চট্টগ্রাম। [email protected]

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App