শ্রীলংকার লক্ষ্য ছিল তিনশ ছাড়ানো। এই লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৭০ পেরোনোর আগেই চার উইকেট চলে যায়। সেখান থেকে দলকে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করেন দাসুন শানাকা। চলমান শতাব্দীতে শ্রীলংকার দ্বিতীয় অধিনায়ক হিসেবে ওয়ানডেতে ঘরের মাঠে সেঞ্চুরি করলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটিও যথেষ্ট হয়নি।

মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) পাল্লেকেল্লেতে স্বাগতিক শ্রীলংকার বিপক্ষে ২২ রানে জয় পেয়েছে জিম্বাবুয়ে। সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ৫ উইকেটে জেতা শ্রীলংকার সঙ্গে সমতা টেনেছে তারা।

টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে জিম্বাবুয়ের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা রান পান। উদ্বোধনী জুটিতে ৫৯ রান যোগ করেন তাকুদজওয়ানাশে কাইতানো ও রেজিস চাকাভা। ২৮ বলে ২৬ রান করে কাইতানো ও ৫০ বলে ৪৭ রান করে আউট হন চাকাভা।

তাদের বিদায়ের পরও খেই হারায়নি জিম্বাবুয়ের ইনিংস। শেন উইলিয়ামসের সঙ্গে ১০৬ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন। ৫৬ বলে ৪৮ রান করে উইলিয়ামস ফিরলে এই জুটি ভাঙে। অন্যদিকে সেঞ্চুরির কাছে গিয়েছিলেন আরভিন। ১০ চারে ৯৮ বলে ৯১ রান করে থিকসানার বলে বোল্ড হন তিনি।

শেষদিকে ৪৬ বলে ৫৬ রানের ইনিংস খেলেন সিকান্দার রাজা। নির্ধারিত ৫০ ওভার ব্যাট করে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩০২ রানের সংগ্রহ পায় জিম্বাবুয়ে। শ্রীলংকার পক্ষে ৯ ওভারে ৫১ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন জেফরি ভেন্ডারসি।

জিম্বাবুয়েকে জবাব দিতে নেমে ৬৩ রানেই চার উইকেট হারিয়ে ফেলে শ্রীলংকা। অধিনায়ক দাসুন শানাকা অনেকটা একাই লড়াই করেন। কিন্তু ৪৫তম ওভারে টেন্ডাই চাতারার বলে তিনি ফিরে গেলে কার্যত শেষ হয়ে যায় লংকানদের আশা। ৭ চার ও ৪ ছক্কায় সাজানো ইনিংসটিতে শানাকা করেন ৯৪ বলে ১০২ রান।

শ্রীলংকা শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভার ব্যাট করলেও ৯ উইকেট হারিয়ে ২৮০ রানের বেশি করতে পারেনি। ৩ উইকেট করে নিয়েছেন টেন্ডাই চাতারা ও ব্লেসিং মুজারাবানি।

জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন।