মিথ্যা মামলা দেয়ায় এসআই রুবেলের বিরুদ্ধে মাদক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তার মামলা
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২০২২, ০৭:৩৮ পিএম
পুলিশ পিকআপ ভ্যানে তুলে নিয়ে চাঁদা দাবি, আটকে রেখে মারধর ও মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগে রাজধানীর কোতয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রুবেল মল্লিকসহ দুই জনের বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অপর আসামি হলেন খসরু রোমান নামের এক ভুয়া ডিবি পুলিশ। মামলাটি দায়ের করেন ভুক্তভোগী মুন্সীগঞ্জ জেলার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক এস এম সাকিব হোসেন।
বুধবার (১৯ জানুয়ারি) আদালত সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলামের আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়। বিচারক মামলাটি আমলে গ্রহণ করে আগামী ২৯ মার্চ আসামিদের আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত বছর ১৮ জানুয়ারি সাকিব হোসেন মালিবাগ সিআইডি পুলিশের ট্রেনিং সেন্টার থেকে বিকেলে ভাটারা নূরের চালায় বোনের বাসায় যান। সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে বাসা থেকে বের হয়ে আমেরিকান অ্যাম্বেসির অপর পাশে দাঁড়ান। তখন পুলিশের একটি পিকআপ ভ্যান থেকে দুজন লোক নামেন। খসরু রোমান নিজেকে ডিবি এসি এবং রুবেল মল্লিক এসআই পরিচয় দেন। তখন তারা সাকিব হোসেনকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যেতে চান। সাকিব হোসেন অপরাগতা প্রকাশ করলে হাতে হ্যান্ডকাফ লাগিয়ে চোখ বেঁধে তাকে জোর করে গাড়িতে তোলেন। তারা ভিকটিমকে নিয়ে গাড়িতে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরেন।
ভিকটিমের কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন খসরু। এসআই রুবেল খসরুকে বলেন, সরকারি অফিসার টাকা নিয়ে ছেড়ে দিলে আমরা ফেঁসে যাবো। তার বিরুদ্ধে মাদক মামলা দে। একজন বলেন, ওকে বাসায় নিয়ে যা। বাসায় স্বর্ণের বার আছে তা দিয়ে ডাকাতি মামলায় আটক দেখিয়ে চালান দেই।
এসআই রুবেল বলেন, ১১ জানুয়ারির একটি অজ্ঞাত মামলা আছে ওকে জড়িয়ে দেই। এরপর আসামিরা বাসার ঠিকানা জেনে সাকিবকে তার বোনের বাসায় নিয়ে আসে।
এরপর আসামিরা সাকিবের বোনের বাসায় ঢুকে। তারপর খসরু সাকিবের ব্যাগের মধ্যে স্বর্ণের বার রেখে আসেন। পরবর্তীতে আসামিরা ভিকটিমকে মিথ্যা অভিযোগে অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে মামলায় ফাঁসিয়ে দিয়ে আদালতে প্রেরণ করার সময় তাকে মারপিট করে জখম করেন এবং ভয়-ভীতি প্রদান করেন। ১৯ জানুয়ারি আসামিরা ভিকটিমের বোনের বাসায় জোরপূর্বক প্রবেশ করে নগদ তিন লাখ টাকা, মোবাইল ফোন ও অন্যান্য মালামাল নিয়ে যায়।