×

স্বাস্থ্য

দেশে করোনা আক্রান্তদের ২০ শতাংশের দেহে ওমিক্রন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২২, ১২:২৬ পিএম

দেশে করোনা আক্রান্তদের ২০ শতাংশের দেহে ওমিক্রন

প্রতীকী ছবি

বর্তমানে দেশে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ২০ শতাংশই ওমিক্রনে আক্রান্ত। করোনা আক্রান্ত ৭৬৮টি নমুনা পরীক্ষা করে এ তথ্য পেয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) গবেষক দল।

আজ মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাটির তথ্য উপস্থাপন করেন বিএসএমএমইউয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।

অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ জানান, এ গবেষণার উদ্দেশ্য করোনার জেনোমের চরিত্র উন্মোচন, মিউটেশন এর ধরণ এবং বৈশ্বিক কোভিড-১৯ ভাইরাসের জেনোমের সাথে এর আন্তঃসম্পর্ক বের করা এবং বাংলাদেশি করোনা জেনোম ডাটাবেস তৈরি করা। এ রিপোর্ট বিএসএমএমইউয়ের চলমান গবেষণার ৬ মাস ১৫ দিনের ফলাফল। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আশা করছে, পরবর্তী সপ্তাহগুলোতে চলমান হালনাগাদকৃত ফলাফল জানাতে পারবো।

২০২১ সালের ২৯ জুন থেকে চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশব্যাপী করোনা আক্রান্তের ওপর এ গবেষণা পরিচালিত হয়। এই গবেষণায় দেশের সকল বিভাগের প্রতিনিধিতৃবকারী স্যাম্পলিং করা হয়। গবেষণায় মোট ৭৬৯ জন করোনা আক্রান্ত রোগীর ন্যাযোফ্যারিনজিয়াল সোয়াব স্যাম্পল থেকে নেক্সট জেনারেশন সিকোয়েন্সিং এর মাধ্যমে করোনা ভাইরাসের জেনোম সিকোয়েন্সিংকরা হয়।

বিএসএমএমইউয়ের গবেষণায় ৯ মাস থেকে শুরু করে ৯০ বছর বয়সের রোগীকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এরমধ্যে, ২১ থেকে ৫৮ বছর বয়সী রোগীদের সংখ্যা বেশি। যেহেতু সব বয়সের ব্যক্তিই করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন, সে হিসাবে শিশুদের মধ্যেও করোনা সংক্রমণ রয়েছে। এছাড়া, গবেষণায় দেখা গেছে, করোনা আক্রান্তদের মধ্যে যাদের কো-মরবিডিটি যেমন ক্যানসার, শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস রয়েছে, তাদের মৃত্যুর সংখ্যা বেশি। পাশাপাশি ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের দ্বিতীয়বার সংক্রমণ হলে সেক্ষেত্রে মৃত্যুঝুঁকি বেশি দেখা গেছে।

করোনার জেনোম সিকোয়েন্সিং বিশ্লেষণ গবেষণায় জুলাই ২০২১ দেখা যায় মোট সংক্রমণের প্রায় ৯৮ শতাংশ হচ্ছে ইন্ডিয়ান বা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট। এক শতাংশ হচ্ছে সাউথ আফ্রিকান বা বেটা ভ্যারিয়েন্ট দ্বারা সংক্রমণ, এক শতাংশের ক্ষেত্রে মরিসাস ভ্যারিয়েন্ট অথবা নাইজেরিয়ান ভ্যারিয়েন্ট। ২০২১ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত জিনোম সিকোয়েন্সে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ৯৯ দশমিক ৩১ শতাংশ ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট, একটি করে ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন- আলফা বা ইউকে ভ্যারিয়েন্ট এবং বেটা বা সাউথ আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্ট এবং অন্য একটি স্যাম্পল এ সনাক্ত হয় ২০বি ভ্যারিয়েন্ট, যা সার্স-কভ-২-এর একটি ভ্যারিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট। ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর থেকে ২০২২ সালের ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত সংগৃহীত স্যাম্পলের ২০ শতাংশই ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট এবং ৮০ শতাংশ ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে। পরবর্তী মাসে এই ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট গুণিতক হারে বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এরআগে, সোমবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে জানিয়েছিলেন, রাজধানীতে ৬৯ শতাংশের দেহে ওমিক্রন আছে।

এছাড়া, গত বুধবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছিলেন, করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ১৫ থেকে ২০ শতাংশই ওমিক্রনে আক্রান্ত।

২০২১ সালের ২৪ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত হয় করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন। গত ১০ ডিসেম্বর দেশে প্রথম ওমিক্রন শনাক্ত হয়। এখন পর্যন্ত দেশে ৫৫ ব্যক্তি করোনার এ ধরনে সংক্রমিত হয়েছেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App