নীলফামারীর ডিমলায় ১১ বছর বয়সী এক শিশু দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় ডিমলা থানা পুলিশ সুজন ইসলাম নামে এক যুবককে আটক করেছে।

সোমবার (১৭ জানুয়ারি) ডিমলা উপজেলার খালিশা চাপানি ইউনিয়নে এ ঘটনাটি ঘটে। শিশুটি স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

পুলিশ ও এলাকাবাসীর সূত্র মতে, দুপুরের দিকে শিশুটির বাবা-মা তাকে বাড়িতে রেখে এক আত্মীয়ের জানাজায় অংশ নিতে যান। শিশুটি বাড়িতে একাই ছিল। এই সুযোগে একই ইউনিয়নের প্রতিবেশী মোশাররফ হোসেনের ছেলে সুজন ইসলাম ও আমিনুর রহমানের ছেলে বুলু বাদশা ওই বাড়িতে ঢুকে শিশুটিকে ধর্ষণ করে।

নির্যাতিত শিশুর মা বলেন, আত্মীয়ের দাফন শেষে সন্ধ্যায় বাড়িতে ঢুকে তিনি মেয়েকে মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। মায়ের আর্তচিৎকারে গ্রামের লোকজন বিষয়টি অবগত হন।

শিশুটির চাচা জানান, রাতে শিশুটির প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ ও অবস্থার অবনতি হওয়ায় দ্রুত ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। এ সময় চিকিৎসকেরা শিশুটিকে নীলফামারী সদর আধুনিক হাসপাতালে রেফার করেন। ধর্ষণের শিকার শিশুটি এখন সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. শফিকুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রাতেই শিশুটিকে নীলফামারী সদর আধুনিক হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য স্থানান্তর করা হয়।

ডিমলা থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম জানান, এ ব্যাপারে শিশুটির পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করার প্রস্তুতি চলছে। এ ঘটনায় এক জনকে আটক করা হয়েছে।