×

পুরনো খবর

অভিনেত্রী শিমু হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ২৭ ফেব্রুয়ারি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২২, ০৯:১৫ পিএম

চিত্রনায়িকা ও মডেল রাইমা ইসলাম শিমু হত্যা মামলার সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাবেয়া বেগম রিমান্ডের এ আদেশ দেন।

এদিন মঙ্গলবার বিকেলে নিহত শিমুর ভাই শহীদুল ইসলাম খোকন বাদী হয়ে কেরানীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় নিহত শিমুর স্বামী নোবেল ও তার বন্ধু ফরহাদকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজনকেও আসামি করা হয়েছে।

এ মামলায় গ্রেপ্তার শিমুর স্বামী খন্দকার শাখাওয়াত আলীম নোবেল ও তার বন্ধু আব্দুল্লাহ ফরহাদকে সন্ধ্যায় আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তাদের বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ১০ দিন করে রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কেরানীগঞ্জ মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) চুন্নু মিয়া।

এসময় রাষ্ট্রপক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর আনোয়ারুল কবীর বাবুল রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করে বলেন, আসামিদের দণ্ডবিধি আইনের ৩০২ ও ৩৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। কেন একজন নায়িকাকে হত্যা করলো? এর পেছনোর রহস্য কি? হত্যার উদ্দেশ্য উদ্ঘাটনের জন্য আসামিদের রিমান্ডে নেয়া প্রয়োজন। তবে আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিল না। বিচারক এ আবেদনের প্রেক্ষিতে দুই আসামির প্রত্যেককে তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আর প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ২৭ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন।

গত সোমবার সকাল ১০টায় কেরানীগঞ্জ থানার হযরতপুর ইউপির আলীপুর ব্রিজের কাছে রাস্তার পাশ থেকে উদ্ধার করা হয় অভিনেত্রী শিমুর বস্তাবন্দি মরদেহ। সেদিন রাতে তার স্বামী নোবেল ও বন্ধু ফরহাদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

এদিকে দুপুরে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সরদার জানিয়েছেন, দাম্পত্য কলহের জেরে ১৬ জানুয়ারি সকাল ৭-৮টার দিকে খুন হন শিমু। তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করে শিমু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে স্বামী ও তার বন্ধুর সংশ্লিষ্টতার তথ্য পাওয়া যায়। তার লাশ গুম করতে সহায়তা করেন আব্দুল্লাহ ফরহাদ। তারা খুবই পরিকল্পিতভাবে লাশটি হযরতপুরে ফেলে যায়। তবে তারা কিছু চিহ্ন রেখে যায়। আমরা গুরুত্বপূর্ণ আলামত জব্দ করি। তাই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শিমুর স্বামী নোবেল এবং তার বাল্যবন্ধু এস এম ওয়াই আব্দুল্লাহকে রাতেই কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় নিয়ে আসি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App