অভিনেত্রী শিমু হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দুইজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
সোমবার (১৭ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে তার স্বামী ও ড্রাইভার মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে গেলে সেখানেই র্যাব তাদের আটক করে। পরে কলাবাগান থানা পুলিশ জিডিমূলে তাদের নিয়ে নেয়।
অন্যদিকে একই স্পটে উপস্থিত থাকা কেরানীগঞ্জের পুলিশ ওই দুই জনকে নেয়ার জন্য পীড়াপিড়ি করছে। যেহেতু ‘পিও’ কেরানীগঞ্জ।
খুনের বিষয়টি তদন্তের ভার এখন র্যাবের হাতে নেই, ডিএমপি এবং ঢাকা জেলা পুলিশ এ নিয়ে তদন্ত করছে।
মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ এ বিষয়ে কথা বলবে।
রাতেই শিমুর ভাই শহিদুল ইসলাম খোকন জানান, প্রথম আসামি আমার বোনের স্বামী নোবেল। সে এবং ফরহাদ নামের একজন এ কাজ করেছে। তাদেরকে র্যাব গ্রেফতার করেছে, কেরাণীগঞ্জ থানার ওসি আমাদের হেল্প করেছেন। এর আগে আমার কাছে লাশ শনাক্ত করার জন্য কেরাণীগঞ্জ থেকে একটা ফোন আসে। সেখানে গিয়ে আমার বোনের লাশ আমি নিজে শনাক্ত করেছি।
তিন দিন নিখোঁজ থাকার পর সোমবার সকালে হযরতপুর এলাকা থেকে শিমুর (৪০) লাশ উদ্ধার করে কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু সালাম মিয়া এ খবর নিশ্চিত করেন।
রাজধানীর গ্রিনরোডের বাসিন্দা ছিলেন অভিনেত্রী শিমু। রাইমা ইসলাম শিমু ১৯৯৮ সালে কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘বর্তমান’ চলচ্চিত্র দিয়ে রুপালি পর্দায় তার অভিষেক হয়। একে একে অভিনয় করেছেন ৫০টিরও বেশি নাটকে। অভিনয়ের পাশাপাশি প্রযোজক হিসেবেও দর্শকরা তাকে পর্দায় পেয়েছে। ২০০৪ সাল পর্যন্ত ১৮ থেকে ২৩টি চলচ্চিত্রে তিনি অভিনয় করেছিলেন বলে এক সাক্ষাৎকারে দাবি করেছিলেন। সাম্প্রতিক সময়ে ফ্যামিলি ক্রাইসিস নামে একটি ধারাবাহিক নাটকে কাজ করেছেন তিনি।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।