×

পুরনো খবর

দুই শিক্ষিকার সাক্ষ্য: নকল করা অবস্থায় ধরা পড়েন অরিত্রী

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৭ জানুয়ারি ২০২২, ০৭:১২ পিএম

রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারীকে বাবা-মায়ের সামনে অপমান করে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেয়ার অভিযোগে কলেজটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস ও শাখাপ্রধান জিনাত আক্তারের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন দুই শিক্ষিকা।

সোমবার (১৭ জানুয়ারি) ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলমের আদালতে প্রতিষ্ঠানটির সিনিয়র শিক্ষিকা লুৎফুন নাহার করিম এবং প্রভাতী শাখার খন্ডকালীন শিক্ষিকা আফসানা আমাতু রাব্বী এ সাক্ষ্য দেন।

আদালতে লুৎফুন নাহার করিম বলেন, ২০১৮ সালের ২ ডিসেম্বর তিনি এবং আফসানা আমাতু রাব্বী ১২৮ নং শ্রেণিকক্ষে পরীক্ষার ডিউটিতে ছিলেন। স্কুলের নিয়ম অনুযায়ী পরীক্ষার কেন্দ্রে কোনো রকম ডিভাইস বা মোবাইল আনা নিষিদ্ধ থাকা সত্ত্বেও অরিত্রী মোবাইল নিয়ে আসে। পরীক্ষা শেষ হওয়ার আনুমানিক ১০ মিনিট আগে নকল করা অবস্থায় তারা অরিত্রীর কাছ থেকে মোবাইল উদ্ধার করেন। মোবাইলে বার্ষিক পরীক্ষার সিলেবাস ডাউনলোড করা ছিল। বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল পাওয়ায় তারা তা পরীক্ষা পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত শিক্ষক জাহানারা শিরিনের কাছে উত্তরপত্র ও ডিভাইস জমা দিয়ে তারা আবার পরীক্ষার হলের ডিউটিতে পুনরায় চলে যান। যথারীতি পরীক্ষা শেষ করে শিক্ষার্থীরা হল ত্যাগ করে। পরীক্ষা শেষে অরিত্রী মোবাইল চায়নি। ওর সঙ্গে কোনো রকম অশোভন আচরণ করা হয়নি। অরিত্রীও শান্ত ছিল। তারপর তারা খাতা ও প্রশ্ন জমা দিয়ে বাড়ি চলে যান।

অন্যদিকে আফসানা আমাতু রাব্বী সাক্ষ্য প্রদাণে বলেন, 'তিনি এবং লুৎফুন নাহার করিম রুমে পরীক্ষার দায়িত্বে ছিলেন। পরীক্ষা শেষ হওয়ার ১০ মিনিট পূর্বে তারা অরিত্রীকে মোবাইল দেখে উত্তর করার সময় তার কাছ থেকে মোবাইল উদ্ধার করেন। মোবাইলে বার্ষিক পরীক্ষার সিলেবাস ডাউনলোড করা ছিল। তারা পরীক্ষা নিয়ন্ত্রনকারী শিক্ষিকা জাহানারা শিরিনের কাছে অরিত্রীর মোবাইল ও উত্তরপত্র জমা দেন। পরীক্ষা শেষ হওয়ার ১০ মিনিট আগে অরিত্রী হল থেকে চলে যায়। অরিত্রী বাসায় যাওয়ার সময় তাদের কাছে মোবাইল চায়নি। অরিত্রীর সঙ্গে অশোভন আচরণ করা হয়নি বলেও জানান তিনি।

এ সাক্ষ্য গ্রহণের সময় আসামি অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস ও জিনাত আক্তার আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এরপর দুইজনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হলে বিচারক পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ৩০ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন। মামলাটিতে এ নিয়ে ১৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ৮ জনের সাক্ষ্য শেষ হলো।

এরআগে ২০১৮ সালের ৪ ডিসেম্বর অরিত্রীর আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে শিক্ষকদের নামে পল্টন থানায় মামলা করেন তার বাবা দিলীপ অধিকারী।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর পরীক্ষা চলাকালে অরিত্রীর কাছে মোবাইল ফোন পান শিক্ষক। মোবাইল ফোনে নকল করেছে এমন অভিযোগে অরিত্রীকে তার মা-বাবাকে নিয়ে স্কুলে যেতে বলা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় দিলীপ অধিকারী ও তার স্ত্রী স্কুলে গেলে ভাইস প্রিন্সিপাল তাদের অপমান করে কক্ষ থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। অধ্যক্ষের কক্ষে গেলে তিনিও একই আচরণ করেন। এ সময় অরিত্রী বাসায় ফিরে গিয়ে রুমের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়নায় পেঁচিয়ে ফাঁস দেন বলে উল্লেখ করা হয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App