পৌনে ১২টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৪০ শতাংশ: জেলা প্রশাসক
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৬ জানুয়ারি ২০২২, ০১:১৬ পিএম
ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ।
নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ বলেছেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এ পর্যন্ত ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে। রবিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে নারায়ণগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শনের পর এ কথা বলেন তিনি। জেলা প্রশাসক বলেন, সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে ভোট হচ্ছে। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে প্রার্থীদের এজেন্ট আছে। নারী ভোটারদের উপস্থিতি বেশি।
এদিকে রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহফুজা আক্তার বলেছেন, ভোটার উপস্থিতি সন্তোষজনক। এখন পর্যন্ত কোথাও কোনো অনিয়মের অভিযোগ নেই। শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন হচ্ছে। ভোটার রা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিচ্ছেন। একাধিক নির্বাচন কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে দুপুরে এ কথা বলেন তিনি।
আজ সকাল আটটা থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। একটানা এ ভোট গ্রহণ হবে বিকেল চারটা পর্যন্ত। এ ভোট গ্রহণ হচ্ছে ইভিএমে। ইতিমধ্যে নির্বাচনের মেয়র পদে প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী এবং হাতি মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার ভোট দিয়েছেন। দুই প্রার্থীই জয়ের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। দুজনই ভোট সুষ্ঠু হচ্ছে বলেও গণমাধ্যমকে বলেছেন।
আজ নারায়ণগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজ কেন্দ্রে মোস্তাইন বিল্লাহ বলেছেন, দুপুর পৌনে ১২টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ। কোনো কোনো ভোটকেন্দ্রে ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে। কোনো মেয়র বা কাউন্সিলর প্রার্থী ভোট নিয়ে লিখিত বা মৌখিক কোনো অভিযোগ করেননি।
মোস্তাইন বিল্লাহ নির্বাচন উপলক্ষে নেয়া ব্যবস্থা সম্পর্কে বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাঁচ হাজারের বেশি সদস্য নিয়োজিত আছেন। ৩৯ ম্যাজিস্ট্রেট কাজ করছেন। শেষ পযন্ত নির্বাচন সুষ্ঠু হবে, এ আশা করছি।
আইভী ও তৈমুর আলম ছাড়া মেয়র পদে অপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা হলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের এ বি এম সিরাজুল মামুন (দেয়ালঘড়ি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাছুম বিল্লাহ (হাতপাখা), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির রাশেদ ফেরদৌস (হাতঘড়ি), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মো. জসিম উদ্দিন (বটগাছ) ও স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী কামরুল ইসলাম (ঘোড়া)।
এ ছাড়া কাউন্সিলর পদে সাধারণ ওয়ার্ডে ১৪৮ জন এবং সংরক্ষিত আসনে ৩৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।