×

জাতীয়

সব কেন্দ্রের ফল: আইভী ১,৬১,২৭৩, তৈমুর ৯২১৭১ ভোট

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৬ জানুয়ারি ২০২২, ০৬:০৯ পিএম

সব কেন্দ্রের ফল: আইভী ১,৬১,২৭৩, তৈমুর ৯২১৭১ ভোট
সব কেন্দ্রের ফল: আইভী ১,৬১,২৭৩, তৈমুর ৯২১৭১ ভোট
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট শেষ। ১৯২টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে সবগুলোর অনানুষ্ঠিক ফলাফল পাওয়া গেছে। এতে নৌকা প্রতীকের প্রাথী সেলিনা হায়াৎ আইভী পেয়েছেন ১ লাখ ৬১ হাজার ২৭৩ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বি হাতি প্রতীকের প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার পেয়েছেন ৯২ হাজার ১৭১ ভোট। ৬৯ হাজার ১০২ ভোটের ব্যবধানে হ্যাটট্রিক জয় আইভীর। রবিবার সকাল ৮টায় এ সিটির ১৯২ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, যা একটানা বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে। এবারই প্রথম পুরো নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে ইভিএমে ভোট হল। ভোটারদের রায়ে সেলিনা হায়াৎ আইভী টানা তৃতীয়বার মেয়র নির্বাচিত হলেন। নারায়ণগঞ্জ সিটিতে মোট ভোটার রয়েছেন ৫ লাখ ১৭ হাজার ৩৬১ জন। তাদের মধ্যে ২ লাখ ৫৯ হাজার ৮৪৬ জন পুরুষ। ২ লাখ ৫৭ হাজার ৫১১ জন নারী এবং ৪ জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার। একজন মেয়র, ৯ জন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর এবং ২৭টি ওয়ার্ডে একজন করে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়। মেয়র পদে ৭ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৪৮ জন এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৩৪ জন ভোটের লড়াইয়ে ছিলেন। ১৯২ কেন্দ্রের ১৩৩৩টি কক্ষে ভোট প্রদান করে ভোটাররা। এর আগে ২০১১ সালের ৫ মে নারায়ণগঞ্জ পৌরসভা, কদম রসুল পৌরসভা ও সিদ্ধিরগঞ্জ পৌরসভাকে বিলুপ্ত করে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন গঠনের গেজেট প্রকাশ করে সরকার। প্রথমবার (২০১১) ৯টি ওয়ার্ডে ইভিএমে, বাকিগুলোয় ব্যালট পেপারে ভোট হয়। ২০১৬ সালে সব কেন্দ্রে ব্যালট পেপারে এবং এবার পুরো সিটিতে ভোট হয় ইভিএমে। প্রথমবার নির্দলীয় প্রতীকে ভোট হয় এ সিটিতে। দলীয় প্রতীকে এবার দ্বিতীয় নির্বাচন হচ্ছে। দলীয় নির্বাচনের সুযোগ শুধু মেয়র পদে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন গত ৩০ নভেম্বর এবারের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে। সে অনুযায়ী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন ছিল ১৫ ডিসেম্বর। ২০ ডিসেম্বর বাছাইয়ের পর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় ছিল ২৭ ডিসেম্বর। ২৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পর শুরু হয় ভোটের প্রচার। মেয়রের লড়াইয়ে ৭ প্রার্থী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে সেলিনা হায়াৎ আইভী, স্বতন্ত্র (বিএনপি) থেকে হাতি প্রতীক নিয়ে তৈমুর আলম খন্দকার, খেলাফত মজলিস থেকে দেওয়াল ঘড়ি প্রতীক নিয়ে এবিএম সিরাজুল মামুন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে হাতপাখা প্রতীক নিয়ে মো. মাছুম বিল্লাহ, স্বতন্ত্র থেকে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে মো. কামরুল ইসলাম, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন থেকে বটগাছ প্রতীক নিয়ে মো. জসীম উদ্দিন, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি থেকে হাতঘড়ি নিয়ে মো. রাশেদ ফেরদৌস। কর্মী বাহিনী নারায়ণগঞ্জে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ঢাকার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মাহফুজা আক্তার। তার সঙ্গে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে আছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মতিয়ুর রহমান, উপজেলা/থানা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, আব্দুল কাদির, আফরোজা খাতুন, মো. ইউসুফ-উর-রহমান, মোসা. মাহফুজা আক্তার, সুলতানা এলিন, মো. আ. আজিজ ও আল-আমিন। রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ছাড়াও প্রতি কেন্দ্রে একজন করে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা; ১৩৩৩ জন সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও ২৬৬৬ জন পোলিং কর্মকর্তা ছিলেন। সব মিলিয়ে ভোটের দায়িত্বে আছেন চার সহস্রাধিক কর্মকর্তা। আইনশৃঙ্খলায় হাজার সদস্য নির্বাচনী এলাকায় ভোটের পরদিন পর্যন্ত পুলিশের ২৭টি স্ট্রাইকিং ফোর্স দায়িত্বে ছিলেন। পুলিশের মোবাইল টিম ৬৪টি; প্রতি টিমে ৫ জন করে সদস্য ছিলেন। প্রতি ভোট কেন্দ্রে একজন এসআইয়ের নেতৃত্বে ৫ জন পুলিশ এবং ১২ (৮ জন পুরুষ, ৪ নারী) আনসার সদস্য ছিলেন। বিজিবি ছিলো ১৪ প্লাটুন। র‌্যাবের স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে ৩টি, চেকপোস্ট ৬টি, টহল টিম ৭টি ও স্ট্যাটিক ফোর্স ২টি। প্রচারের শুরু থেকে ওয়ার্ডগুলোতে ২৭ জন নির্বাহী হাকিম এবং ৯ জন বিচারিক হাকিম দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ভোটের দিন আরও ৩৬ জন নির্বাহী ও ১৪ জন বিচারিক হাকিম মাঠে থাকবেন।  

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App