×

চিত্র বিচিত্র

গার্লফ্রেন্ডের বিশ্বস্থতা পরীক্ষা করে লাখ টাকা আয়!

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৫ জানুয়ারি ২০২২, ০৭:১১ পিএম

গার্লফ্রেন্ডের বিশ্বস্থতা পরীক্ষা করে লাখ টাকা আয়!

জেভিয়ার লং

গার্লফ্রেন্ড নিয়ে অধুনা সময়ে অনেক বয়ফ্রেন্ডই সন্দিহান থাকে। কিন্তু অন্যের গার্লফ্রেন্ডের বিশ্বস্থতা পরীক্ষাকে পেশা হিসেবে নেয়ার ঘটনা বোধহয় আগে শোনা যায়নি। জেভিয়ার লং যুক্তরাষ্ট্রের আলাবামা রাজ্যের ২০ বছর বয়সী একজন যুবক। তার দাবী গার্লফ্রেন্ডের বিশ্বস্থতা পরীক্ষা করতে চাওয়া ছেলেদের কাছ থেকে প্রতি সপ্তাহে তিনি লাখ টাকারও বেশি উপার্জন করেন। খবর অডিটি সেন্ট্রালের। টেক্সট মেসেজের মাধ্যমে এ তথাকথিত বিশ্বস্থতা পরীক্ষার জন্য ছেলেরা জেভিয়ারকে অগ্রীম টাকা প্রদান করলে তিনি এ সার্ভিস দিয়ে থাকেন। বর্তমানে গার্লফ্রেন্ডকে নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভোগা ছেলেদের সংখ্যা অনেক বেশি হওয়ায় তিনি প্রতি সপ্তাহে লাখ টাকারও বেশি উপার্জন করতে পারছেন। জেভিয়ার বলেন, আমি এর মাধ্যমে অনেক টাকা উপার্জন করেছি। আমার নির্দিষ্ট কোনো নাম্বার নেই। কিন্তু এসব বিশ্বস্থতা পরীক্ষা আমাকে সকাল নয়টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত কাজ করা বন্ধ করেছে। এটি আমার জন্য টাকা উপার্জনের দ্রুত ও সহজতম উপায়। এটি শুরু হয় যখন জেভিয়ারের একজন টিকটক অনুসারী তার সঙ্গে যোগাযোগ করে জানায়, সে তার গার্লফ্রেন্ডের বিশ্বস্থতা পরীক্ষা করতে পারবে কী না। সে প্রথম বিশ্বস্থতা পরীক্ষার কাজটি বিনামূল্যে করেছিল। কিন্তু যখন ছেলেরা তাকে এটা করার জন্য টাকা দেয়ার প্রস্তাব করল, তখন তার এ সার্ভিসটি লাভজনক ব্যবসায় রূপান্তরিত হলো। আলাবামার এ উদ্যোক্তা বলেন, কেউ জিজ্ঞেস করলে আমি বলি এ কাজের জন্য ১ হাজার টাকা নিই। তবে আমি মাঝেমধ্যে বিনামূল্যেও কাজটা করে দিই। কিন্তু মানুষ যদি এর জন্য আমাকে টাকা দেয়, তাহলে আমি কেন একজনের জন্য বিনামূল্যে এটি করব? প্রতিদিন জেভিয়ার মানুষের কাছ থেকে ১০০ টি অনুরোধ পেয়ে থাকেন, এবং এর ফলে তিনি ২০ হাজার টাকার ওপরে উপার্জন করতে পারেন। তার কাছে এ কাজের জন্য এত বেশি অনুরোধ আসে যে তিনি সময়ের অভাবে সবার অনুরোধ রাখতে পারেন না। সাধারণত তিনি খুব আকর্ষণপূর্ণ ঘটনাগুলোর অনুরোধই রাখেন। এক্ষেত্রে কিছু অনুরোধ তার মাথা নষ্ট করে দেয়ার জন্য যথেষ্ট হয়। লং ভাইস নিউজকে বলেন, কখনো এমন হয় কেউ মেসেজ দিয়ে বলে আমাদের সম্পর্কের দুই বছর হয়েছে। আমি দেখতে চাই সে আমার সঙ্গে প্রতারণা করছে কী না অথবা সে কী আগেই প্রতারণা করেছে। এখান থেকে আর্থিক সুবিধা পাওয়ার পাশাপাশি জেভিয়ার অনুভব করেন তিনি মানুষকে সাহায্য করছেন। ‍যদিও অনেক মানুষই এক্ষেত্রে দ্বিমত পোষণ করবেন। জেভিয়ার বলেন, আমি মানুষকে সাহায্য করছি। তাই আমি অনুভব করি টাকা উপার্জনের চাইতেও এটি এক হিসেবে ভালো বিষয়। এজন্য আমি এটি করা শুরু করেছি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App