×

জাতীয়

সাকরাইন মানে কী, কীভাবে এলো

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২২, ০৬:১৭ পিএম

সাকরাইন মানে কী, কীভাবে এলো

প্রতীকী ছবি

পৌষ মাসের শেষে ও মাঘের শুরুতে শীতের বার্ষিক উৎসবকে যে নামে পালন করা হয় তা ‘সাকরাইন উৎসব’ হিসেবে পরিচিত। বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ছোট-বড় সবাই মেতে ওঠে এ উৎসবে।

সংস্কৃত শব্দ ‘সংক্রান্তি’ ঢাকাইয়া অপভ্রংশে সাকরাইন রূপ নিয়েছে। এর আভিধানিক অর্থ বিশেষ মুহূর্ত। অর্থাৎ বিশেষ মুহূর্তকে সামনে রেখে যে উৎসব পালিত হয় তাকেই বলা হয় সাকরাইন। দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশেই এ উৎসব ভিন্ন ভিন্ন নামে উদযাপন করা হয়। বাংলায় দিনটি পৌষ সংক্রান্তি ও ভারতীয় উপমহাদেশে মকর সংক্রান্তি হিসেবে পরিচিত।

পৌষ মাসের শেষ ও মাঘের প্রথম প্রহরে সাকরাইন উৎসবের আয়োজন করা হয়। তবে বাংলা ক্যালেন্ডার ও পঞ্জিকা তারিখের সঙ্গে কিছুটা পার্থক্যের কারণে প্রতি বছর দুই দিনব্যাপী এই উৎসবটি পালন করেন পুরান ঢাকার বাসিন্দারা। খ্রিস্টীয় বছরের হিসাবে প্রতি বছর ১৪ জানুয়ারি দিনটি উদযাপন করেন পুরান ঢাকার বাসিন্দারা।

এ উৎসব সনাতন ধর্মাবলম্বীদের হলেও বহু বছর ধরে পুরান ঢাকার বাসিন্দারা ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সাড়ম্বরে পালন করছে। পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী সাকরাইন উৎসবকে ‘পৌষ সংক্রান্তি’ বা ঘুড়ি উৎসবও বলা হয়ে থাকে।

সাকরাইনের প্রধান আকর্ষণ ঘুড়ি খেলা। তাই উৎসবের দিন বিকেল থেকে পুরান ঢাকার প্রতিটি বাড়ির ছাদ থেকে শত শত ঘুড়ি উড়তে থাকে। ঢাকার অন্য অঞ্চল থেকেও হাজারো মানুষ ভিড় জমান ঐতিহ্যবাহী এই উৎসবটি উপভোগ করতে।

শুধু ঘুড়ি ওড়ানোই নয়, ঘুড়ি কাটাকুটি খেলাও শুরু হয়ে যায়। রং-বেরঙের ঘুড়ি এক সঙ্গে উড়ে ঢাকার আকাশকে বর্ণিল করে তোলে। সন্ধ্যা নামলে খেলা শেষে শুরু হয় আতশবাজি, শত শত ফানুসে ছেয়ে যায় বুড়িগঙ্গা তীরবর্তী শহরের আকাশ।

সঙ্গে থাকেন বিভিন্ন শিল্পী। গান গেয়ে, খেলা দেখিয়ে তারা দর্শকদের মাতিয়ে রাখেন। ঘরে ঘরে তৈরি হয় বিভিন্ন পিঠাপুলিসহ নতুন খাবার। নানা রকম খাবারের পাশাপাশি ছাদে চলতে থাকে আড্ডা ও নাচ-গান।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App