×

সাহিত্য

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ও সুবর্ণজয়ন্তীর বিশেষ প্রদর্শনী

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২২, ০৮:০৮ পিএম

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ও সুবর্ণজয়ন্তীর বিশেষ প্রদর্শনী

শুক্রবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে আয়োজিত বিশেষ প্রদর্শনী ঘুরে দেখছেন কৃষিমন্ত্রী ও একাত্তরের অগ্নিকন্যা বেগম মতিয়া চৌধুরী। ছবি : ভোরের কাগজ

যে কথা হাজার শব্দে বলা যায় না, একটি ছবি সে কথা বলে দিতে পারে। এ ছবি তেমনই ছবি। কেবল দেয়ালের ছবি নয়। বাংলাদেশের জন্ম ইতিহাসের জ্বলন্ত সাক্ষী। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর আয়োজিত প্রদর্শনীর দেয়ালে ৫০ বছর পর বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের সেই মাহেন্দ্রক্ষণ যেন ছবির ক্যানভাসে আবারও সজীব হয়ে উঠেছে।

২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কর্তৃক বঙ্গবন্ধুর আটক, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত খবর, বিশ্ব তাদের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধুর মুক্তির দাবিতে বিশ্ববাসীর তৎপরতা এবং প্রত্যাবর্তন সম্পর্কিত তথ্যাবলীসহ নানা ঘটনাবলীর ছবি দেয়ালজুড়ে কথা বলছে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ‘বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ-প্রত্যাবর্তন : সুবর্ণজয়ন্তী’ শীর্ষক বিশেষ এ প্রদর্শনীটির আয়োজন করেছে।

শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের লবিতে আয়োজিত মাসব্যাপী এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন কৃষি মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি অগ্নিকন্যা মতিয়া চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য দেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ডা. সারোয়ার আলী।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মতিয়া চৌধুরী বলেন, এ প্রজন্মের মানুষেরা হয়তো অনেক কিছু পেয়েছে বা ভবিষ্যতে আরও পাবে কিন্তু তারা মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার গৌরব অর্জন করতে পারবে না। মুক্তিযুদ্ধ আমাদের মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার গৌরব এনে দিয়েছে। কিছু কোলাবেরেটরস ছাড়া ৩০ লাখ শহীদের বাইরে প্রতিটি পরিবারেই মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ ছিলো।

মুক্তিযুদ্ধে সাংবাদিকদের গৌরবজ্জল ভূমিকা স্মরণ করে মতিয়া চৌধুরী বলেন, সাংবাদিকদের সাহসী ও বলিষ্ঠ অবস্থানের কারণে পঞ্চাশ বছর পরেও মুক্তিযুদ্ধের তথ্য ও আলোকচিত্র আমাদের কাছে মূর্ত হয়ে আছে। ইন্টারনেটের আবির্ভাবের ফলে সাংবাদিকতা যেমন সহজ হয়েছে তেমনি চ্যালেঞ্জও বেড়েছে। সাংবাদিকতা বাণিজ্যিক রূপ নিয়েছে। তরুণরা পেশা হিসেবে সাংবাদিকতা বেছে নেওয়ায় আনন্দ প্রকাশ করে মতিয়া চৌধুুরী বলেন, আমি খুশি হই যখন দেখি তরুণরা জীবিকার অবলম্বন হিসেবে সাংবাদিকতা বেছে নিচ্ছে। সাংবাদিকরা পেটে পাথর বেঁধে সাংবাদিকতা করবেন সেই দিন আর নাই। আমাদের সাংবাদিকতা যাতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পৌঁছতে পারে সে ব্যাপারে ভূমিকা রাখতে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের প্রতি আহবান জানান তিনি।

স্বাগত বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ডা. সারোয়ার আলী বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন নানা কারণে তাৎপর্যপূর্ণ। নয় মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের জন্য যিনি দেশকে প্রস্তুত করেছেন ২৫ মার্চ রাতে পাক হানাদার বাহিনী তাকে আটক করে। ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করলেও বঙ্গবন্ধুর প্রত্যাবর্তন ছাড়া স্বাধীনতা পূর্ণতা লাভ করেনি। বঙ্গবন্ধু বারবার বলেছেন সেলের পাশে তার জন্য কবর খোঁড়া হচ্ছে; তিনি মৃত্যুর জন্য সবসময় প্রস্তুত ছিলেন। একজন ফাঁসির আসামির যে চারিত্রিক দৃঢ়তা সেটা অত্যন্ত গুরুত্ববহ এবং অনেকের জন্য অনুকরণীয়।

বঙ্গবন্ধুর মুক্তি ও স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ত্বরান্বিত করতে সে সময় যুদ্ধাকালীন মুজিবনগর সরকার, ভারত সরকার এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় চাপ প্রয়োগ করেছিল বলেও মন্তব্য করেন এই মুক্তিযোদ্ধা।

প্রদর্শনী চলবে ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সোমবার থেকে শনিবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত প্রদর্শনীর দরজা সবার জন্য খোলা থাকবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App