×

চিত্র বিচিত্র

বিশ্বের সবচেয়ে বড় চুলগোল্লা!

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২২, ০৫:১০ পিএম

বিশ্বের সবচেয়ে বড় চুলগোল্লা!

বিশ্বের সবচেয়ে বড় চুলগোল্লা। ছবি: সংগৃহীত।

ওহিয়ো নিবাসী এক চুল পরিচর্যাকারী তার সেবা গ্রহীতাদের কাছ থেকে চুল সংগ্রহ করে বিশ্বের সবচেয়ে বড় চুলগোল্লা তৈরি করেছেন। এটা করতে গিয়ে তার জীবনের গত নয়টি বছর অতিবাহিত হয়েছে।

ওহিয়োর ক্যামব্রিজে স্টিভ ওয়ার্ডেন ‘ব্লকার্স’ নামে একটি সেলুন পরিচালনা করেন। তিনি ২০১৩ সালে বিশ্বের সবচেয়ে বড় চুলের গোল্লা তৈরির মাধ্যমে গিনেস রেকর্ড পাওয়ার জন্য কাজ শুরু করেন। গত মাসে তার কাজ শেষ হয়। খবর অডিটি সেন্ট্রালের।

এ চুলের গোল্লাটির ওজন ১০২.১২ কেজি। এর আগের রেকর্ডধারীর তুলনায় এটির ওজন ২৫ কিলোগ্রাম বেশি।

ওয়ার্ডেনের ৪ সন্তান তার কাছে কয়েক বছর ধরেই অনেক বড় একটি চুলের গোল্লা বানানোর জন্য আবদার করছিল, যেটি রিপলি’স বিলিভ ইট অর নট বইয়ে ফিচার আকারে প্রকাশ হবে। এটা ভেবে ২০১৩ সালেই তিনি এ রেকর্ডটি করার সিদ্ধান্ত নেন।

তিনি তার ক্যামব্রিজে অবস্থিত সেলুনে গ্রাহকদের কাটা চুল সংগ্রহ করা শুরু করেন। এটার জন্য তিনি সেলুনটির মেঝেতে ময়লার পাত্রের সঙ্গে যুক্ত করে একটি ঢালুপথ তৈরি করেন। এর ফলে তিনি যখন চুল কেটে মেঝেতে ফেলতেন সেটি তার সংগ্রহে জমা হতো।

স্টিভেন গিনেস রেকর্ডকে বলেন, যখন প্রকৃতপক্ষেই আমার জমানো চুলগুলো থেকে একটি গোল্লা তৈরি করার মতো সময় হলো, তখন আমি হার্ডওয়্যারের দোকান থেকে বিভিন্ন ধরনের আঠা কিনে আনলাম।

আমি হাতে গ্লোভস পরে একগুচ্ছ চুল নিয়ে একটি গোল্লা তৈরি করলাম। আমার প্রথম চুলের গোল্লাটি আকৃতিতে একটি বেসবলের মতো হয়েছিল।

এভাবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চুলের গোল্লাটি বড় হতে লাগল। এক সময় ওয়ার্ডেন রিপলি’র সঙ্গে যোগাযোগ করেন তাদের ম্যাগাজিনে উদ্ভট চুলের সংগ্রহের বিষয়টি প্রকাশের জন্য। তারা রাজিও হয়, কিন্তু এটি ছিল কেবলমাত্র শুরু…

২০১৮ সালে অরল্যান্ডো কমিক কনফারেন্সে রিপলি’র স্টলে দীর্ঘ আকৃতির চুলের গোল্লাটি প্রদর্শনীর জন্য রাখা হয়। সেখানে দর্শকরা তাদের নিজেদের চুল এ ক্রমবর্ধমান গোল্লাটিতে যোগ করেন এবং গোল্লাটির আজীবন প্রদর্শনীর অংশ হয়ে যান।

প্রদর্শনীতে উপস্থিত দর্শকরা এ গোল্লার ধারণাকে পছন্দ করেছিলেন। চুলের গোল্লাটি যেখানেই যাচ্ছিল, সেখানেই এটি একটি জনপ্রিয় বস্তু হয়ে যাচ্ছিল এবং দান করা চুলের সংখ্যা ক্রমাগতভাবে বাড়ছিল।

গোল্লার নির্মাতা বলেন, আমি এটি আমার সন্তান ও ভবিষ্যত নাতি-নাতনীদের প্রতি ভালোবাসার নিদর্শন হিসেবে করেছি। এবং একটি জিনিস দেখাতে চেয়েছি যে, যদি আপনার মধ্যে কোনো তাক লাগানো আইডিয়া থাকে, তাহলে মানুষ কী ভাবল সেটি নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো দরকার নেই। কাজটি করে ফেলুন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App