×

সাহিত্য

গ্যালারি কায়া: ভারত-বাংলাদেশের শিল্পীদের নিয়ে ‘এপিক ১৯৭১’

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২২, ০৮:২৩ পিএম

গ্যালারি কায়া: ভারত-বাংলাদেশের শিল্পীদের নিয়ে ‘এপিক ১৯৭১’

শুক্রবার প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক। ছবি : ভোরের কাগজ

বাংলাদেশ ও ভারতের শিল্পীদের চিত্রকর্ম নিয়ে গ্যালারি কায়ায় শুরু হয়েছে ‘এপিক ১৯৭১’ শীর্ষক চিত্রকর্ম প্রদর্শনী। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের অংশ হিসেবে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। প্রদর্শনীর ছবিগুলোতে মুক্তিযুদ্ধের বীরত্ব, আত্মত্যাগ, বেদনার কথা উঠে এসেছে। উঠে এসেছে আমাদের বিজয়ের কথা, অর্জনের কথা এবং স্বজন হারানোর বেদনার কথা।

মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারত সরকার ও সে দেশের মানুষ বাংলাদেশের সব ধরনের সহযোগিতা করেছিল। যৌথ বাহিনী পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করেছিল। প্রদর্শনীতেও তাই বাংলাদেশ ও ভারতের শিল্পীদের নিয়ে এই ব্যতিক্রমী আয়োজন করা হয়েছে।

প্রদর্শনীতে বাংলাদেশের চার জন ও ভারতের চার জন শিল্পীর ৩১টি চিত্রকর্ম স্থান পেয়েছে। এর মধ্যে ভারতের শিল্পীরা হলেন সোমনাথ হোড়, আদিত্য বসাক, চন্দ্রা ভট্টাচার্য্য ও অতীন বসাক। আর বাংলাদেশের শিল্পীরা হলেন শাহাবুদ্দিন আহমেদ, জামাল আহমেদ, রণজিৎ দাস ও আলপ্তগীন তুষার।

শিল্পী গৌতম চক্রবর্তী জানান, গত এক বছর ধরে এ প্রদর্শনী নিয়ে কাজ করছি। বাংলাদেশের সুবর্ণ জয়ন্তীতে প্রদর্শনীর জন্য এই শিল্পীদের কাছে আমি ছবি আহ্বান করি। খুব আশ্চর্যজনকভাবে তাদের চবিতে ১৯৭১ সালের বেদনা ও বীরত্বের কথা উঠে এসেছে। এরমধ্যে শিল্পী শাহাবুদ্দন আহমেদের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা রয়েছে। ১৯৭১-কে নিয়ে অনেক কাজ হচ্ছে আগামীতেও হবে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর এই ক্ষণে সমকালীন শিল্পীদের ক্যানভাসে মুক্তিযুদ্ধের অনুভূতি ধরা থাকলো।

শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) বিকেলে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক। স্বাগত বক্তব্য দেন গ্যালারি কায়ার পরিচালক শিল্পী গৌতম চক্রবর্তী। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন শিল্পী জামাল আহমেদ।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মতিউর রহমান বলেন, আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম সাংস্কৃতিক আন্দোলনের পথ ধরেই এসেছে। পঞ্চাশের দশক থেকেই আমাদের শিল্পী, সাহিত্যিকরা এ আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে শিল্পীদের খুব বড় ভূমিকা রয়েছে।

মফিদুল হক বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এই প্রদর্শনীটি ব্যতিক্রমী আয়োজন। যেখানে মুক্তিযুদ্ধের সৃজনশীল প্রকাশ ঘটতে দেখা যাচ্ছে। মুক্তিযুদ্দ নিয়ে এ ধরনের প্রদর্শনী খুব একটা হয়নি। প্রদর্শনীটি বিশেষ কৃতিত্বের দাবি রাখে। আশা করি, আগামিতে এরকম আরো প্রদর্শনীর মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধ নানা মাত্রায় উঠে আসবে।

প্রদর্শনীটি চলবে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত। প্রতিদিন বেলা সাড়ে ১১টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা পর্যন্ত খোলা থাকবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App