সালথায় তিন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২ জানুয়ারি ২০২২, ০৯:৫১ পিএম
ফরিদপুরের সালথা উপজেলার আলোচিত তিন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে সালথা থানা পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে ৩৩০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করে পুলিশ। ফিলাট ফকির উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের বাউশখালী এলাকার মোসলেম ফকিরের পুত্র। আটককৃত অপর দুজন একই এলাকার হান্নান শেখের ছেলে বাধন শেখ (২৩) এবং দরজা পুরুরা গ্রামের মৃত এবন মৃধার ছেলে বেলায়েত মৃধা।
মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) বিকালে বাউষখালি এলাকায় অভিযান চালিয়ে ফিলাট ফকিরের নিজ বাড়ি থেকে ৩৩০ গ্রাম গাঁজাসহ তাদেরকে আটক করা হয়।
সালথা থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে, সালথা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসিকুজ্জামান এর দিক নির্দেশনায় এসআই মো. মিজানুর রহমার এর নেতৃতে পুলিশের একটি আভিযানিক দল মঙ্গলবার বিকালে অভিযান পরিচালনা করে ফিলাট ফকির ও তার দুই সহযোগী বাধন ও বেলায়েত কে আটক করে। এসময় তাদের হেফাজতে থাকা ৩৩০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়। আটককৃতদের বুধবার সকালে ফরিদপুর বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে। আটককৃত ফিলাট ফকির এর আগেও একাধিকবার মাদকসহ আটক হয়েছে।
আটককৃত মাদক সম্রাট ফিলাট ফকির বার বার জামিনে ছাড়া পেয়ে ফের বড় মাদক কারবার চালিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে এলাকাবাসীর মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হচ্ছে। অনেকেই বলেন, ফিলাট ফকির সালথার জন্য অভিশাপ। পুলিশ মাদকের বড় বড় চালানসহ তাকে আটক করে জেলে পাঠানো হলেও আইনের ফাক ফোকর দিয়ে কিছুদিন পর আবার জেল থেকে বাইরে চলে আসে এবং আবার এলাকার যুব সমাজের মাঝে মাদক বিক্রি করে সমাজটাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।
বল্লভদী ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান খন্দকার সাইফুর রহমান শাহিন বলেন, ফিলাট ফকির এলাকার আলোচিত মাদক কারবারি। কয়েক বছর আগেও তারা আর্থিক অনটনে ছিল। বর্তমানে তারা এখন অনেক টাকা পয়সার মালিক। বল্লভদী ইউনিয়ন মাদক মুক্ত করতে হলে মাদকের গডফাদারসহ শেকড় উপড়ে ফেলতে হবে।
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসিকুজ্জামান বলেন, ফ্ল্যাট ফকির একজন বড় মাদক কারবারি। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দুই সহযোগীসহ তাকে আটক করা হয়েছে। এর আগেও একাধিকবার মাদকসহ তাকে আটক করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু জামিনে বের হয়ে এসে পুনরায় সে মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে।