দেশজুড়ে আলোচিত নারায়ণগঞ্জের সিটি নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সিইসি কে এম নুরুল হুদা।

বুধবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের মরগ্যান স্কুলে প্রিজাইডিং অফিসারদের সঙ্গে মতবিনিময় ও দিকনির্দেশনামূলক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।

এছাড়া নির্বাচনে সহিসংতায় মৃত্যুর দায় কমিশনের নয় উল্লেখ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা বলেন, প্রার্থীদের সহনশীলতা ছাড়া নির্বাচনে সহিংসতা বন্ধ সম্ভব না।

এ সময় কে এম নুরুল হুদা জানান, নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে সহিংসতার কোনো শঙ্কা দেখছি না। কোনো প্রার্থীর সহিংস মনোভাব নেই, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে আমি আশা প্রকাশ করছি। নারায়ণগঞ্জে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা ভালো রয়েছে, নির্বাচনে কোনো সহিংসতার সম্ভাবনা নেই।

করোনা প্রসঙ্গে তিনি জানান, করোনা সংক্রমণ এখনও ভোট স্থগিতের পর্যায়ে যায়নি। ইভিএম একমাত্র নির্ভরযোগ্য প্রযুক্তি যার মাধ্যমে সুষ্ঠু ভোটগ্রহণ সম্ভব বলেও সিইসি উল্লেখ করেন।

শামীম ওসমানের সংবাদ সম্মেলনের বিষয়ে তিনি বলেন, নিশ্চয়ই আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়েছে। তবে এটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ নয়। এ সময় তিনি বলেন, প্রিজাইডিং অফিসারদের দল মতের ঊর্ধ্বে থেকে ভোটের দায়িত্ব পালন করতে হবে।

এদিকে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সহিংসতার শঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তৎপরতা শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এরই মধ্যে নাশকতার মামলায় গ্রেফতার হয়েছে বেশ কয়েকজন।

নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ জায়েদুল আলম জানান, ১৯৩টি ভোটকেন্দ্রকেই ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। মোতায়েন থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্তত ৪ হাজার সদস্য।

১৬ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ভোট। ভোটার সংখ্যা ৫ লাখ ১৭ হাজার ৩১৬ জন। এবারের নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে ১৯৩টি কেন্দ্রে। ২০১৬ সালের চেয়ে ১৯টি কেন্দ্র বেড়েছে।

২০১৬ সালে ১৩৭ কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছিল। এবার সব কেন্দ্রকে অতি গুরুত্বপূর্ণ মনে করছে প্রশাসন। নির্বাচনে তিন হাজার পুলিশ সদস্য, ২০ প্লাটুন বিজিবি, ২০০ প্লাটুন আর্মড পুলিশ ছাড়াও প্রতি কেন্দ্রে র‍্যাব সদস্যরাও দায়িত্বে থাকবে। এছাড়া ২৭টি ওয়ার্ডে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ স্ট্রাইকিং ফোর্স মাঠে থাকবে।