×

আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্রে এক দিনেই ১১ লাখের বেশি করোনা সংক্রমণ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১ জানুয়ারি ২০২২, ১০:২৯ এএম

যুক্তরাষ্ট্রে এক দিনেই ১১ লাখ ৩০ হাজারের বেশি কোভিড রোগী শনাক্তের রেকর্ড হয়েছে।

মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) রয়টার্সে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, করোনাভাইরাস মহামারী শুরুর পর থেকে গত দুই বছরে বিশ্বের আর কোথাও এক দিনে এত রোগী শনাক্ত হয়নি।

এর আগের রেকর্ড যুক্তরাষ্ট্রেরই ছিল, ওমিক্রনের বিস্তার শুরুর পর গত ৩ জানুয়ারি ১০ লাখ ৩ হাজার মানুষের কোভিড শনাক্ত হয়েছিল।

প্রতি সোমবার যুক্তরাষ্ট্রে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেশি থাকছে, এর একটি কারণ শনি ও রবিবার ছুটির দিনে অনেক রাজ্য থেকে নমুনা পরীক্ষার তথ্য আসতে দেরি হয়।

দেশটির সাত দিনের গড় হিসেব করলে দেখা যাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিদিন গড়ে ৭ লাখের বেশি রোগী শনাক্ত হচ্ছে।

একই দিনে যুক্তরাষ্ট্র আরেক ভয় জাগানো রেকর্ডের মুখোমুখি হয়েছে। সোমবার দেশটির হাসপাতালগুলোতে ১ লাখ ৩৫ হাজারের বেশি কোভিড রোগী ভর্তি ছিল, যা এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ।

এর আগের রেকর্ডটি ছিল গত বছরের জানুয়ারিতে, সে সময় হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১ লাখ ৩২ হাজার ছাড়িয়েছিল।

রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, ওমিক্রনের বিস্তার শুরুর পর গত তিন সপ্তাহে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে তিনগুণ হয়েছে।

গত নভেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত হওয়া করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন পুরো বিশ্বেই প্রাধান্য বিস্তার করছে। রোগীর চাপে উদ্বেগ বাড়ছে ইউরোপেও।

গতবছর আধিপত্য বিস্তার করা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে অনেক বেশি দ্রুত ছড়ায় ওমিক্রন। তবে গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তির ঝুঁকি ডেল্টার চেয়ে কম বলে প্রাথমিক গবেষণায় দেখা যাচ্ছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, প্রাথমিক গবেষণার ওই তথ্যের ভিত্তিতে ওমিক্রনকে কম গুরুতর বলার সুযোগ নেই, কারণ হাসপাতালে রোগীর চাপ অনেক বেশি বেড়ে গেলে এবং সংক্রমণের ফলে স্বাস্থ্যকর্মীর সংকট দেখা দিলে তা বড় ধরনের বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।

সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন এলাকায় স্কুল খোলা রাখাও কঠিন হয়ে পড়েছে। আক্রান্ত হওয়ায় শিক্ষক ও স্কুল বাসের চালকরা কাজে যোগ দিতে পারছেন না, শিক্ষার্থীরাও অনুপস্থিত থাকছে।

বিপুল সংখ্যক কর্মী করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় নিউ ইয়র্ক শহরে পাতাল রেলের তিনটি লাইন বন্ধ রাখা হয়েছে।

করোনা আক্রান্ত রোগী বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের হাসপাতালগুলোতে মৃত্যুও বাড়ছে। এখন দেশটিতে প্রতিদিন গড়ে ১৭ শ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে, যা গত কয়েক সপ্তাহে ১৪ শর নিচে ছিল।

টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থা ফাইজারের সিইও সোমবার বলেছেন, ওমিক্রনকে সামাল দেওয়ার জন্য বিশেষভাবে একটি টিকা তৈরি করা প্রয়োজন বলে তিনি মনে করছেন। আগামী মার্চের মধ্যে তার কোম্পানি নতুন একটি টিকা আনতে পারবে বলে আশাবাদী তিনি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App