দলিল জালিয়াতির মাধ্যমে জমি কেনার অভিযোগে প্রতারণার মামলায় নর্দার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবু ইউসুফ মো. আব্দুল্লাহ ও তার সহযোগী রিয়াজুল আলমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলামের আদালত এ আদেশ দেন। তবে আসামিদের জামিন শুনানির জন্য আগামিকাল বুধবার দিন ধার্য করা হয়েছে।

আশিয়ান ল্যান্ডস ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) মো. সাইফুল ইসলাম ভুঁইয়া বাদী হয়ে আবু ইউসুফ মো. আব্দুল্লাহ এবং তার দুই সহযোগী মো. রিয়াজুল আলম ও সেলিম মুন্সিসহ অজ্ঞাত ছয়-সাত জনকে আসামি করে খিলক্ষেত থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন।

১০ জানুয়ারি আসামি আবু ইউসুফ ও রিয়াজুলকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। তাদেরকে আজ আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির উপ-পরিদর্শক নাজমুল হক। অন্যদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী কাজী নজরুল ইসলাম জামিন চেয়ে আবেদন করেন। বিচারক জামিনের আবেদনের শুনানির জন্য বুধবার দিন ধার্য করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, আশিয়ান ল্যান্ডস ডেভেলপমেন্টের ৫ বিঘা জমি ক্যাম্পাস স্থাপনের জন্য পছন্দ করে নর্দার্ন বিশ্ববিদ্যালয়। আলোচনাসাপেক্ষে ওই জমির মূল্য নির্ধারণ করা হয় ৫০ কোটি টাকা। এর মধ্যে চেকের মাধ্যমে ৩০ কোটি টাকা পরিশোধ করে নর্দার্ন বিশ্ববিদ্যালয়। বাকি ২০ কোটি টাকা পরে পরিশোধ করার কথা বলা হয়। পরবর্তী সময়ে নর্দার্ন বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবু ইউসুফ মো. আব্দুল্লাহর কাছে বাকি ২০ কোটি টাকা চাইলে তিনি জানান, সব টাকা পরিশোধ করা হয়েছে।

পরে বাদী খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, ওই জমি ৯ কোটি ৩৩ লাখ টাকায় কেনা হয়েছে বলে দেখানো হয়েছে সাফ কবলা দলিলে। দলিল সম্পাদনকারী মোহরার হিসেবে বাদীর অফিসের মোহরারের নাম থাকলেও তিনি এ ধরনের কোনো দলিল লেখার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না বলে এজাহারে উল্লেখ করেন।