ভারতে করোনায় ৮ মাসে সর্বোচ্চ শনাক্ত
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০ জানুয়ারি ২০২২, ০১:২১ পিএম
ভারতে নতুন বছরের প্রথম সপ্তাহেই শুরু হয়ে যাওয়া করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী ধারা এখনও থামছে না।
সোমবার (১০ জানুয়ারি) দেশটিতে গত বছরের মে মাসের পর সর্বোচ্চ সংক্রমণের রেকর্ড হয়েছে। এ দিন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৭৯ হাজার ৭২৩ জন, মৃত্যু হয়েছে ১৪৬ জনের। রবিবারের তুলনায় দৈনিক সংক্রমণ বৃদ্ধির হার ১২.৬ শতাংশ। পজিটিভিটি রেট ১৩.২৯ শতাংশ। করোনায় চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ২৩ হাজার ৬১৯ জন। খবর সংবাদ প্রতিদিনের।
ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পাঁচটি রাজ্যের লাগামছাড়া সংক্রমণের কারণেই দেশের করোনার গ্রাফ এতটা লাফিয়ে বেড়েছে। এই পাঁচ রাজ্যের শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র। তারপরই রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। মহারাষ্ট্রের দৈনিক সংক্রমণ ৪৪ হাজারের বেশি, আর পশ্চিমবঙ্গে তা ২৪ হাজার ছাড়িয়েছে।
এছাড়া সংক্রমণের তালিকায় থাকা অন্যান্য রাজ্যগুলি হচ্ছে দিল্লি, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক। দিল্লির তিনটি সংশোধনাগারে প্রায় ৪৫ জন বন্দির শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়েছে। যা অনেকটাই উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
এই উৎকণ্ঠার মধ্যেই আজ থেকে ভারতে বুস্টার ডোজ দেওয়ার কর্মসূচী শুরু হচ্ছে। সম্মুখ সারির করোনা যোদ্ধা, চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মী এবং ষাটোর্ধ্ব কো-মরবিড রোগীদের প্রথমে এই বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে। এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। অন্যদিকে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের টিকাদান কার্যক্রমও পুরোদমে চলছে।
ভারতের লাগামছাড়া করোনা সংক্রমণ রুখতে আপৎকালীন পরিস্থিতিতে কী কী ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে, তা নিয়ে রবিবার সন্ধ্যায় জরুরি বৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৈঠকে ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। এই মুহূর্তে কোন রাজ্যের কী প্রয়োজন, কীভাবে মহামারী মোকাবেলায় ভূমিকা রাখা হবে, সেসব নিয়ে আলোচনা হয় বলে বৈঠকসূত্র জানিয়েছে। আজও ভারতের কয়েকটি রাজ্যের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করবেন দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য।