×

জাতীয়

রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় তিনজনের অস্বাভাবিক মৃত্যু

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯ জানুয়ারি ২০২২, ০২:৪৪ পিএম

রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় সবুজবাগ ও কামরাঙ্গীরচরে শিক্ষার্থীসহ তিনজনের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। মৃতদেহ তিনটি ময়নাতদন্তের জন্য শনিবার (৯ জানুয়ারি) রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায় পুলিশ।

মৃতরা হলেন- সবুজবাগের শিক্ষার্থী শফিকুল ইসলাম (১৮), কামরাঙ্গীরচরের রহিদুল ইসলাম হৃদয় (২২) ও রাসেল হোসেন (২৫)।

শফিকুলের মামাতো ভাই মো. লালন আহমেদ জানান, শফিকুলের বাড়ি বরিশাল সদর উপজেলার চাঁদপুরা গ্রামে। বাবার নাম মাজহারুল ইসলাম। তার ভগ্নিপতি সিদ্দিকুর রহমান পায়েলের সঙ্গে সবুজবাগ বাগপাড়া পশ্চিম রাজারবাগ ৮/ই/৬ নাম্বার বাসায় থাকতো। সে মিরপুর বাঙলা কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিল।

সবুজবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বিমল চন্দ্র পাইন জানান, শনিবার দিবাগত রাত বারোটার দিকে খবর পেয়ে পশ্চিম রাজারবাগের ওই বাসার দরজা ভেঙে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। রুমের ভেতর ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল মৃতদেহটি।

তিনি জানান, মানসিকভাবে হতাশাগ্রস্ত হওয়ার কারণে সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। বিস্তারিত তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।

কামরাঙ্গীরচর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জামান জানান, শনিবার দিবাগত রাত দেড়টায় কামরাঙ্গীরচর পশ্চিম ইব্রাহিমনগর বালুর মাঠ এলাকায় আব্বাস শেখের বাড়ি দ্বিতীয় তলায় দরজা ভেঙে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচানো ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয় হৃদয়ের। রুমটিতে তিনজন মিলে থাকতো। তবে ঘটনার সময় বাকি দুজন বাসার বাইরে ছিল বলে জানা গেছে।

তিনি জানান, রাত আনুমানিক ১১টার দিকে তার ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছিলো যেখানে লেখা, আসসালামুআলাইকুম, বিদায় ফেসবুক ফ্রেন্ড। এই পোস্ট দেখে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, প্রেমঘটিত কারণ বা পূর্বপরিকল্পিতভাবে সে গলা ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

তার বড় ভাই মো. সাগর জানান, তাদের বাড়ি মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলা। তার বাবা মৃত মৌলভী কায়সার। কামরাঙ্গীরচরে একটি ছবি বাঁধাই কারখানার কাজ করত হৃদয়। গত রাত দেড়টার দিকে তার রুমমেটের মাধ্যমে খবর পান গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে সে। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে তার রুমের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ দেখতে পান। তার গলায় ফাঁস দেয়ার কারণ সম্পর্কে কিছু জানাতে পারেননি তিনি। সে তিন ভাই-তিন বোনের মধ্যে সবার ছোট ছিল।

রাসেলের ভগ্নিপতি রিয়াজ জানান, তার বাড়ি বরগুনা সদর উপজেলা। সে রাজমিস্ত্রির সহযোগী হিসেবে কাজ করত।

কামরাঙ্গীরচর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. রনি চৌধুরী জানান, শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে ঝাউচর লবণ ফ্যাক্টরী গলির একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় রাসেলের মৃতদেহ। স্বজনদের বরাত দিয়ে তিনি জানান, গত এক মাস আগে রুমি নামের এক নারীকে বিয়ে করে সে। এর মধ্যেই তাদের মাঝে পারিবারিক কলহ সৃষ্টি হয়। এর জের ধরে রাসেল দুপুরে খাটের খুটির সঙ্গে গামছা পেচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়েছে বলে জানা গেছে।

তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় রাসেলের বোন জামাই রিয়াজ বাদী হয়ে আত্মহত্যার প্ররোচনায় মামলা করেছেন। মামলায় তার স্ত্রীর রুমী এবং রুমীর পূর্বপরিচিত কাইয়ুম নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদেরকে আজকে আদালতে পাঠানো হবে। কাউয়ুমের সঙ্গে রুমীর অবৈধ্য সম্পর্ক ছিলো বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App