আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নিজ এলাকা নোয়াখালী-৫ আসনে নির্বাচনে তার সঙ্গে প্রার্থী হতে চাওয়া ডা. এ কে এম জাফর উল্যাহকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ।

অব্যাহতি পাওয়া ডা. এ কে এম জাফর উল্যাহ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক ও নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন। এছাড়া ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার আত্মীয় (স্ত্রীর বড় ভাই) হওয়ায় ওবায়দুল কাদেরের বেয়াই হিসেবেও এলাকায় পরিচিত তিনি।

গতকাল শুক্রবার সকালে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন অব্যাহতির বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জেলা আওয়ামী লীগের এক সভায় দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও অসাংগঠনিক কার্যক্রমের কারণে তাকে জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) বিষয়টি লিখিতভাবে তাকে জানিয়ে দেয়ার কথা।

এর আগে ওবায়দুল কাদেরের নিজ এলাকা নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট) আসনে নিজেকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী ঘোষণা করে ওই এলাকায় শুভেচ্ছা পোস্টার লাগান ডা. এ কে এম জাফর উল্যাহ। এ নিয়ে গত বুধবার দুপুরে মেয়র আবদুল কাদের মির্জা তার আত্মীয় (স্ত্রীর বড় ভাই) ডা. এ কে এম জাফর উল্যাহকে দুর্নীতিবাজ ও দুদকের আসামি উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ থেকে তাকে বহিষ্কারের দাবি তোলেন।

তিনি ফেসবুকে লেখেন, ডাক্তার জাফর উল্লাহ জাসদ ও একরামের এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী। দুর্নীতিবাজ, যার বিরুদ্ধে দুদকে মামলা আছে- সে আজকে নোয়াখালী-৫ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়ে ওবায়দুল কাদেরের সম্মান নষ্ট করছেন এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে কলঙ্কিত করছেন। তাকে অনতিবিলম্বে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হোক।

অব্যাহতির বিষয়ে ডা. এ কে এম জাফর উল্যাহ বলেন, জেলা আওয়ামী লীগ কী সিদ্ধান্ত নিল তা আমার দেখার বিষয় নয়। আমি আরও বেশি শক্তি সাহস ও উদ্দীপনা নিয়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নেব।