ঢাবির ক্রিমিনোলজি বিভাগে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ কর্নারের উদ্বোধন
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭ জানুয়ারি ২০২২, ০১:৩৭ পিএম
বৃহস্পতিবার কর্নারটি উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। ছবি: ভোরের কাগজ
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে ধারণ করে শিক্ষার্থীদের বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত এবং বঙ্গবন্ধুর উপর গবেষণা করতে অনুপ্রেরণা দেয়ার উদ্দেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি বিভাগে ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ কর্নার’ এর উদ্বোধন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) ক্রিমিনোলজি বিভাগের উদ্যোগে কর্নারটি উদ্বোধন করা হয়। একইসঙ্গে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে দেয়াল পত্রিকার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। সভাপতিত্ব করেন বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান এবং স্বাগত বক্তব্য দেন বিভাগের চেয়ারম্যান খন্দকার ফারজানা রহমান।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে এবং বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবনকে শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. মাকসুদ কামাল বলেন, বঙ্গবন্ধু সর্বদা মানুষের জন্য সোচ্চার ছিলেন, এমনকি গণমানুষের জন্য আন্দোলন করতে গিয়ে যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত হন তখন মুচলেকা দিয়ে ছাত্রত্ব ফিরে পাবার চেষ্টাও তিনি করেননি। কারণ তিনি ছিলেন মানুষের বন্ধু, বাংলার মানুষের প্রতি তার ভালোবাসা, আবেগ ও ত্যাগ যে ভুলবার নয় ড. কামাল তার বক্তব্যে তুলে ধরেন।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসকে জোর করে মনে গেঁথে দেয়া সম্ভব নয়, সেটি হলো উপলব্ধির বিষয়। বঙ্গবন্ধুকে জানার মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেই উপলব্ধি তৈরী হবে।
এছাড়া অনুষ্ঠানের সভাপতি ড. জিয়া জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ত্যাগ ও তিতীক্ষাময় জীবনকে স্মরণ করে শিক্ষার্থীদের বঙ্গবন্ধুর জীবনী সম্পর্কে জানার গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং বিভাগের চেয়ারম্যান খন্দকার ফারজানা রহমান বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও তার দূরদর্শিতাপূর্ণ নেতৃত্বের কথা তুলে ধরে যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুর্নগঠনে বঙ্গবন্ধুর প্রণীত আইন ও উদ্যোগ যে বাংলাদেশের বর্তমান উন্নয়নের ক্ষেত্রে যুগান্তকারী পদক্ষেপ ছিল তা তুলে ধরেন।
ক্রিমিনোলজি বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে বিভাগের শিক্ষার্থীরা গান, নাচ, নাটক ও কবিতা আবৃত্তির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন চিত্র অত্যন্ত মনোরমভাবে উপস্থাপন করেন।