×

জাতীয়

ভোটে ঝরল আরো ১১ প্রাণ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬ জানুয়ারি ২০২২, ০৯:২৭ এএম

ভোটে ঝরল আরো ১১ প্রাণ

ফাইল ছবি

  • পুলিশের গাড়িতে আগুন
  • আহত শতাধিক, আটক অর্ধশত

ইউনিয়ন পরিষদ ভোটের পঞ্চম ধাপেও ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট চলাকালে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের সংঘর্ষে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। এরপর ভোট গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা নিয়ে সংঘর্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছেন আরো চারজন। এছাড়া অনেক স্থানেই ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, বোমাবাজি, ব্যালট ছিনতাই, বুথ দখল, প্রার্থীদের ভোট বর্জন, পুলিশের গাড়িতে আগুন, প্রিসাইডিং অফিসারকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এ ধাপে ৭০৮টি ইউপিতে ভোটগ্রহণ করা হয়, যার মধ্যে ৪০টি ইউপিতে ইভিএমে ভোট নেয় ইসি। ইউপি নির্বাচনের বিগত চার ধাপে মোট ৮৪ জন নিহত হয়েছিল, যদিও ইসির হিসাবে এই সংখ্যা ৬৪ জন।

এদিকে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া পঞ্চম ধাপের ভোট সুষ্ঠু ও ভালোভাবে সম্পন্ন হয়েছে বলে দাবি করেছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার। গতকাল বুধবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ইউপি ভোট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন তিনি। প্রাণহানির ঘটনা অনাকাক্সিক্ষত উল্লেখ করে ইসি সচিব জানান, এই ধাপে প্রায় ৭০ শতাংশ ভোট পড়েছে। সংঘর্ষের কারণে ৯টি কেন্দ্রের ভোট স্থগিত করা হয়েছে।

বগুড়ায় ঝরল ৫ প্রাণ : জেলার গাবতলীতে ভোটকেন্দ্রে নৌকা মার্কার কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষে গুলিতে নারী মেম্বার প্রার্থীসহ চারজন নিহত হয়েছেন। গতকাল সন্ধ্যায় গাবতলী উপজেলার বালিয়াদীঘি ইউনিয়নের কালাইহাটা উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- গাবতলী উপজেলার বালিয়াদীঘি ইউনিয়নের কালাইহাটা গ্রামের খোকনের স্ত্রী মেম্বার প্রার্থী কুলসুম আক্তার, একই গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে আলমগীর হোসেন, একই গ্রামের মৃত ইফাত উল্লাহর ছেলে আব্দুর রশিদ ও রাজ্জাক।

জানা গেছে, ভোটগ্রহণ শেষে ফলাফল ঘোষণা না করে উপজেলা সদরে ব্যালট পেপার নিতে চায় নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এতে আপত্তি জানায় নৌকা মার্কার প্রার্থী ইউনুছ আলী ফকির ও তার সমর্থকরা। একপর্যায় তারা ভোটকেন্দ্র ঘেরাও করে। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে নৌকা মার্কার কর্মীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। নৌকা মার্কার কর্মীদের সঙ্গে যোগ দেয় অন্য প্রার্থীদের কর্মী ও সমর্থকরা। সংঘর্ষে কয়েক হাজার নারী ও পুরুষ লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায় পুলিশ, বিজিবি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়িতে। ব্যাপক ভাঙচুর শুরু করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গুলি চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বগুড়ার পুলিশ সুপার (এসপি) সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেছেন, আমাদের কাছে নিহত তিনজনের নাম রয়েছে। পরে রাজ্জাক নামের একজনের মরদেহ গাবতলী হাসপাতালে রয়েছে বলে শুনেছি। তিনি আরো জানান, রাত ৮টার দিকে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আসলে ভোটকেন্দ্রেই ব্যালট পেপার গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

এর আগে দুপুরে গাবতলী উপজেলার রামেশ্বরপুর জাইগুনি গ্রামের একটি কেন্দ্রে দুই ইউপি সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে জাকির হোসেন (৩৫) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

৫ জেলায় নিহত আরো ৬ : বিকাল পৌনে ৩টার দিকে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার জুম্মারবাড়ি ইউনিয়নের ৪নম্বর ওয়ার্ডের জুম্মাবাড়ি আদর্শ কলেজ কেন্দ্রের বাইরে আবু তাহের (৩৮) নামে এক মেম্বার প্রার্থীর সমর্থককে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। প্রতিদ্বন্দ্বী মেম্বার প্রার্থী রাসেল আহমেদের (ফ্যান) কর্মী-সমর্থকরা তাকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন স্বজনরা। নিহত আবু তাহের জুম্মারবাড়ি ইউনিয়নের মামুদপুর গ্রামের মো. ওমর আলীর ছেলে।

চাঁদপুর জেলার কচুয়ায় নির্বাচনী সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন শরীফ হোসেন, তার বাড়ি হাতিরবন্ধ গ্রামে। দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়। এছাড়া একই জেলায় হাইমচরের দুই কেন্দ্রে সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন অজ্ঞাতনামা আরো একজন। ধারণা করা হচ্ছে ওই যুবক বহিরাগত। জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মিলন মাহমুদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত হয়েছেন অংকুর দত্ত (৩৮) নামে এক যুবক। তিনি সিংহরা দত্ত বাড়ির নেপাল দত্তের ছেলে। গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চাতরী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান থানা নির্বাচন কর্মকর্তা সৈয়দ মো. আনোয়ার খালেদ। চমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

জামালপুরের বকশীগঞ্জে মেরুরচর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হাসান আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর সমর্থক ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংর্ঘষ হয়েছে। এ ঘটনায় আল আমিন (২২) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। আল আমিন বাঘাডুবা গ্রামের আচ্ছা মিয়ার ছেলে।

মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার বাচামারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে গিয়ে নির্বাচনী সহিংসতার মধ্যে পড়ে স্ট্রোক করে ছলেমন খাতুন (৫০) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল দুপুরে ভোট চলাকালে উপজেলার বাচামারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় ওই নারীর প্রাণহানি ঘটে। ছলেমন খাতুনের বাড়ি উপজেলার বাচামারা গ্রামে। তিনি খোরশেদ আলমের স্ত্রী।

এদিকে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার আমিশাপাড়া ইউনিয়নের বাচারগাঁ ভোটকেন্দ্রের কাছেই একটি ঝোপ থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় দেশীয় তৈরি এলজি উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল সকালে স্থানীয়রা ভোট দিতে এসে ঝোপে অস্ত্রটি দেখতে পেয়ে কেন্দ্রের পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে এলজিটি উদ্ধার করে। এছাড়া ভোটকেন্দ্র থেকে মো. রবিন (২৮) নামে এক যুবককে পিস্তলসহ আটক করে পুলিশ।

মানিকগঞ্জের বোয়ালখালী উপজেলার দক্ষিণ করলডেঙ্গা ইউনিয়নের একটি কেন্দ্রে সংঘর্ষে এক ইউপি সদস্য প্রার্থী আহত হয়েছেন। ভাঙচুর করা হয়েছে বেশ কয়েকটি গাড়ি। শরীয়তপুরের নড়িয়ার ভোজেশ্বর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের একটি কেন্দ্রে ককটেল বিস্ফোরণ ও আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটেছে। সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, নির্বাচন কর্মকর্তা ও সংবাদমাধ্যমকর্মীদের অবরুদ্ধ করা হয়। ওই কেন্দ্রের ব্যালটবাক্স ছিনতাই করা হয়েছে। আগুন দেয়া হয়েছে কেন্দ্রের বাইরে থাকা গণমাধ্যমকর্মীদের মোটরসাইকেলে। নারী আনসার সদস্যদেরও লাঞ্ছিত করা হয়েছে। জানা গেছে, হামলাকারীদের প্রতিহত করতে ফাঁকা গুলি ছুড়তে শুরু করে পুলিশ ও বিজিবি। তারপরও হামলাকারীরা পিছু না হটায় একপর্যায়ে গুলি শেষ হয়ে যায়। তখন হামলাকারীরা কেন্দ্রে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনার পর ওই কেন্দ্রে ভোট বন্ধ হয়ে গেছে।

জামালপুরের বকশীগঞ্জের মেরুরচর ইউনিয়নের হাছেন আলী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে নৌকা ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ, ইটপাটকেল ছোড়াছুড়ি ও গোলাগুলিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর এক কর্মী গুলিবিদ্ধ হন। এ সময় পুলিশসহ আহত হয়েছেন নয়জন। গুলিবিদ্ধ ওই ব্যক্তিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। হামলাকারীদের আগুনে পুলিশের একটি পিকআপ ও ৩টি মোটরসাইকেল পুড়ে গেছে। আনসারদের বহন করা একটি গাড়িও ভাঙচুর করা হয়েছে।

ভোলা সদরের পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাঘার হাওলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কেন্দ্র দখল নিয়ে সংঘর্ষ হয়। ব্যালট পেপার ছিনতাই ও দুই ইউপি সদস্যের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ায় গাজীপুরের কাওরাইদ ইউনিয়নের একটি কেন্দ্রে দেড় ঘণ্টা ভোট বন্ধ ছিল। এ সময় কেন্দ্রের বুথ ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়। টাঙ্গাইলের বাসাইলে কেন্দ্রে গুজব ছড়িয়ে ও অতর্কিত হামলা চালিয়ে চেয়ারম্যান পদের ৪০০ ব্যালট পেপার ছিনতাই করেছে নৌকার কর্মী-সমর্থকরা। এ কারণে ওই কেন্দ্রের ভোট স্থগিত করা হয়েছে। এদিকে উপজেলার পরৈকোড়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ভোট বর্জন করেছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নাজিম উদ্দিন।

ফেনী সদর উপজেলার বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে ২৫ জনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। দুপুর দেড়টার দিকে ফরহাদনগরের ৮ নম্বর ওয়ার্ড নৈরাজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে গোলাগুলি ও সংঘর্ষ হয়। এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সজল দাসের নির্দেশে ছয়জনকে আটক করেছে পুলিশ। এর আগে লেমুয়ার দুটি কেন্দ্র থেকে আরো ১২ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশের দায়িত্বশীল সূত্র। এছাড়াও ধর্মপুর ও শর্শদির কয়েকটি কেন্দ্র থেকে বাকিদের আটক করা হয়। অপরদিকে রাজশাহীর বানেশ্বর ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ঢুকে নৌকায় সিল মারার অভিযোগে দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোটারদের মধ্যে টাকা বিতরণ করায় কারাগারে যেতে হয়েছে মো. কারিফ (৩৮) নামে এক পোলিং এজেন্টকে।

ফরিদপুরের সালথায় দফায় দফায় সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত ২৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল সকালে উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের বালিয়া ও ভাবুকদিয়া গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। চট্টগ্রাম চন্দনাইশের হাশিমপুর ইউনিয়নে একটি কেন্দ্র দখল করতে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মোজাম্মেলের সমর্থকরা কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে। এ সময় ইটের আঘাতে এক পুলিশ সদস্য আহত হয়। মানিকগঞ্জে কেন্দ্রে ঢুকে কারচুপি এবং ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে নৌকা প্রতীকে ভোট দিতে বাধ্য করার দায়ে ১০ জনকে সাত দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

কুমিল্লার চান্দিনায় গাড়িতে পুলিশ, ডিবি ও বিজিবির স্টিকার লাগিয়ে নির্বাচনী এলাকা পরিদর্শনের সময় নৌকার প্রার্থী আবুল হাসেমকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং তার গাড়িচালককে ৭ দিনের কারাদণ্ড দেয়া হয়। অন্যদিকে নাটেশ্বর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার এইচ এম কামরুজ্জামানকে ব্যালট পেপারে সিল মারার সময় আটক করা হয়। এছাড়া লালমনিরহাটের পাটগ্রামে দায়িত্বে অবহেলা করায় এক প্রিসাইডিং অফিসারকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

গতকাল বুধবার পঞ্চম ধাপে ৭০৮টি ইউনিয়ন পরিষদে ভোটগ্রহণ করা হয়। এ নির্বাচনে তিনটি পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছেন ৩৬ হাজার ৪৫৭ জন প্রার্থী। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৩ হাজার ২৭৪, সংরক্ষিত আসনে ৭ হাজার ৯৫০ ও সাধারণ সদস্য পদে ২৫ হাজার ২৩৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছেন। তবে ৭০৮ ইউপির মধ্যে বিভিন্ন পদে আগেই ১৯৩ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। তাদের মধ্যে রয়েছেন চেয়ারম্যান পদের ৪৮, সংরক্ষিত নারী সদস্য পদের ৩৩ ও সাধারণ সদস্য পদের ১১২ জন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App