×

সারাদেশ

চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়ে জামানত হারালেন সেই ঝুমন দাস

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬ জানুয়ারি ২০২২, ০১:১৮ পিএম

চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়ে জামানত হারালেন সেই ঝুমন দাস

ঝুমন দাস

চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়ে জামানত হারালেন সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার ঝুমন দাস। পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে শাল্লা উপজেলার হবিবপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ঘোড়া প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন তিনি। ভোটের লড়াইয়ে ঝুমন হেরেছেন বড় ব্যবধানে। বিজয়ী প্রার্থী থেকে ৬ হাজার ৫৯০ ভোট কম পেয়েছেন তিনি। এমনকি নিজের কেন্দ্রেও হেরেছেন ঝুমন। তিনি পেয়েছেন মাত্র ৯৬৮ ভোট।

জিতেছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সুবল চন্দ্র দাস। আনারস প্রতীকে ৭ হাজার ৫৫৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত রঞ্জিত দাস পেয়েছেন ৭ হাজার ১৪৩ ভোট।

হেফাজত ইসলামের নেতা মাওলানা মামুনুল হককে নিয়ে গত বছর ফেসবুকে আপত্তিকর স্ট্যাটাস দেয়ার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ৬ মাস জেল ছিলেন ঝুমন দাস।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, বিধি অনুযায়ী, মোট কাস্টিং ভোটের আট ভাগের একভাগ কোনো প্রার্থী না পেলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত করা হয়। শাল্লা নির্বাচন অফিস থেকে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, হবিবপুর ইউনিয়নে মোট প্রাপ্ত ভোট ১৬ হাজার ৪২৬। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিন্দ্বীতা করেন মোট চারজন।

গত বছরের ১৫ মার্চ সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে হেফাজতের ‘শানে রিসালাত’ সমাবেশে তৎকালীন আমির জুনায়েদ বাবুনগরী ও যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক বক্তব্য দেন। পরদিন মামুনুল হকের সমালোচনা করে ফেসবুকে ‘আপত্তিকর’ স্ট্যাটাস দেন শাল্লার নোয়াগাঁওয়ের যুবক ঝুমন দাস। এ ঘটনায় উত্তেজিত স্থানীয় জনতা নোয়াগাঁওয়ে শতাধিক হিন্দু বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এ ঘটনায় ঝুমনের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা হয়। প্রায় ছয় মাস পর হাইকোর্ট থেকে জামিনে মুক্তি পান তিনি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App