করোনাভাইরাসের দুই ডোজ টিকা নেওয়ার পর কর্মস্থল বা বাসস্থানের জেলা বদলে যাওয়ায় যারা বুস্টার ডোজ নিতে সমস্যায় পড়েছেন, তাদের টিকা কেন্দ্র পরিবর্তনের সুযোগ দেওয়া হবে।

এই সুযোগ এক জেলা থেকে আরেক জেলায় কেন্দ্র পরিবর্তনের ক্ষেত্রে পাওয়া যাবে। তবে ঢাকার মধ্যে কেন্দ্র পরিবর্তন করা যাবে না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।

বুধবার (৫ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠান শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, অনেকেই যে এলাকায় থাকা অবস্থায় প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন, এখন ওই এলাকায় থাকছেন না। এজন্য ঠিকানা পরিবর্তিত হওয়ায় বুস্টার ডোজ নেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়ছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এ বিষয়টি সমাধানের উদ্যোগ নিয়েছে।

আমাদের কাছে অনেকেই ইতোমধ্যে নানা সমস্যায় পড়ার কথা জানিয়েছেন। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি বর্তমানে যে যে এলাকায় আছেন সেখানকার কেন্দ্র থেকেই বুস্টার ডোজ নিতে পারবেন।

বর্তমানে ষাট বছরের বেশি বয়সী এবং মহামারী প্রতিরোধে সম্মুখসারীর কর্মীরা কোভিড টিকার তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ পাচ্ছেন। এ জন্য নতুন করে নিবন্ধনের প্রয়োজন হচ্ছে না। যে হাসপাতালে আগের দুটো টিকা নিয়েছেন, সেখান থেকে এসএমএস পেলে নির্ধারিত তারিখে সেখান থেকেই টিকা নিতে পারছেন।

ডা. ফ্লোরা বলেন, যারা অন্য জেলার কেন্দ্র থেকে বুস্টার ডোজ নিতে চান, তাদেরও নিবন্ধনের কেন্দ্র থেকে এসএমএসের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। সেই এসএমএস পেলেই তিনি বর্তমান ঠিকানার জেলার যে কোনো কেন্দ্র থেকে টিকা নিতে পারবেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, মঙ্গলবার পর্যন্ত দেশে করোনাভাইরাসের টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৭ কোটি ৫৭ লাখ ৮৯ হাজারের বেশি মানুষ। তাদের মধ্যে ৫ কোটি ৩৫ লাখ ৮২ হাজারের বেশি মানুষ দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন।

গত ২৮ ডিসেম্বর দেশে তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হয়। বুধবার পর্যন্ত ২ লাখ ৭ হাজারের বেশি মানুষকে এই ডোজ দেওয়া হয়েছে।