করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন স্ট্রেইন ততটা ভয়ংকর নয়। তবে এর প্রভাবে মৃত্যু কিংবা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ার ঘটনা কম ঘটলেও একদম নিশ্চিত থাকার উপায় নেই। খবর সংবাদ প্রতিদিনের।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, যে ভাবে ওমিক্রন সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে, তার ফলে ফের কোনো করোনা স্ট্রেইনের দেখা মিলতেই পারে যা আরও ভয়াবহ হয়ে উঠবে।

এ আশঙ্কা সত্যি করে গোটা বিশ্বেই কার্যত দাবানলের মতো ছড়াতে শুরু করেছে করোনা সংক্রমনের নতুন ঢেউ। মূলত ওমিক্রন স্ট্রেইনটির দাপটেই এমন তথৈবচ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আমেরিকায় মাত্র ৪ দিনে দৈনিক সংক্রমণ ৬ লাখ থেকে ১০ লাখে পৌঁছেছে। একদিনে এতজনের আক্রান্ত হওয়ার ক্ষেত্রে যা রেকর্ড হিসেবে গণ্য হচ্ছে।

কেবল আমেরিকা নয়, ইউরোপের দেশগুলিতেও হু হু করে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। দেখতে দেখতে কোভিড-১৯ ভাইরাসের ২ বছর হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এর আগে এত অল্প সময়ে এভাবে সংক্রমিত হওয়ার ঘটনা ঘটেনি।

কেবল ইউরোপ-আমেরিকা নয়, ওমিক্রনের ছায়া প্রতিবেশী দেশ ভারতেও দীর্ঘ হয়েছে। মঙ্গলবারের পর বুধবারও (৫ জানুয়ারি) দেশটির করোনা সংক্রমণ লাফিয়ে বেড়েছে। গতকালের পরিসংখ্যানে যেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৭ হাজারের কিছু বেশি ছিল, আজ তা ৫৮ হাজারের গণ্ডি পেরিয়ে গিয়েছে। অর্থাৎ মাত্র ২৪ ঘণ্টায় দেড়গুণেরও (৫৫%) বেশি বেড়েছে সংক্রমণ।

এদিকে ইতোমধ্যেই ফ্রান্সে নতুন এক করোনা স্ট্রেইন ইহুর সন্ধান মিলেছে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এটি ৪৬ বার মিউটেশনের মধ্য দিয়ে গিয়েছে, যা ওমিক্রনের থেকেও বেশি। ফলে টিকার সুরক্ষা বলয় পেরিয়ে সংক্রমিত করার ক্ষমতা এর আরও বেশি। ইহু স্ট্রেইনটিতে ইতোমধ্যেই ফ্রান্সের ১২ জন নাগরিক আক্রান্ত হয়েছেন। তারা সকলেই আফ্রিকার দেশ ক্যামেরুনে বেড়াতে গিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে।

তবে এই মুহূর্তে ফ্রান্সের ৬০ শতাংশ করোনা সংক্রমণের জন্য দায়ী ওমিক্রন। তাই একে অতিক্রম করে ইহুর পক্ষে রাতারাতি বড় আশঙ্কা তৈরি করা সম্ভব নয়, বলেই বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। তবে অচিরেই অন্য ভয়ংকর স্ট্রেইনের আবির্ভাবের বিষয়টি নিয়েই উদ্বিগ্ন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সিনিয়র এমার্জেন্সি অফিসার ক্যাথেরিন স্মলউড।